প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:৩৮ এএম
পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন অনলাইনে শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠান শিখো ডটকমের কর্মকর্তা তাওসিফ জাওয়াদ আহমেদ।
অনলাইনে শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠান শিখো ডটকমের কর্মকর্তা তাওসিফ জাওয়াদ আহমেদ (২৫) পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর রামপুরায় এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে আর বাসায় ফেরেননি তিনি। স্বজনরা থানা, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। এ ঘটনায় পরের দিন বুধবার নিখোঁজ তাওসিফের বড় বোন তানজিনা আহমেদ হাতিরঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। থানা পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, ডিবি, পিবিআইকে বিষয়টি জানিয়েছে তার পরিবার। তবে পাঁচ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও কোনো সংস্থাই তাওসিফকে সন্ধান দিতে পারেনি।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তাওসিফ পরিবারের সঙ্গে পশ্চিম রামপুরা ওয়াপদা রোডের একটি বাসায় থাকতেন। তিনি ২০২০ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেন। চলতি মাসের ৩ তারিখ শিক্ষাপ্রযুক্তি বিষয়ক ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম ‘শিখো’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন।
গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে অফিস শেষে বাসায় ফেরেন তাওসিফ। এসেই টাকা তোলার জন্য বাসার কাছাকাছি সিটি ব্যাংকের বুথে যান। এরপর ১০টা থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পায় তার পরিবার।
তাওসিফের বাবা আলতাফ উদ্দিন আহমেদ জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী এবং ছেলে তাওসিফ ওই বাসায় থাকেন। তাওসিফ অবিবাহিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা চেষ্টা করছে। তবে এখনও ছেলের সন্ধান দিতে পারেনি। এরই মধ্যে এক ব্যক্তি ফোন করে জানায়, তাওসিফ তাদের কাছে আছে। দেড় লাখ টাকা দিলে তাকে ফেরত দেবে। এ সময় তাওসিফের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতে বললে ওই ব্যক্তি সেটি পারেনি। ঘটনার পর তারা ওই বুথের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন। কর্মকর্তা যাচাই করে দেখেছেন, তাওসিফ বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করেছেন। তবে কত টাকা উত্তোলন করেছেন, সেটি নিশ্চিত নয়।
কারও সঙ্গে তাওসিফের শত্রুতা নেই উল্লেখ করে আলতাফ উদ্দিন বলেন, ছেলে কোথায় আছে, কীভাবে আছেÑ জানি না। তিনি ধারণা করছেন, নতুন প্রতারক চক্রের খপ্পরেও পড়তে পারে তার ছেলে। নাকে-মুখে স্প্রে ছিটিয়ে হিপনোটাইজ করে পেছনে পেছনে হয়তো চক্র তাকে নিয়ে গেছে। কেননা কিছুদিন আগে ওখানকার এক ব্যক্তি এমন প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে। সপ্তাহখানেক পর তাকে ঢাকার বাইরে থেকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার পরে বুথ থেকে টাকা তোলেন তাওসিফ। এরপর বুথ বরাবর রাস্তা পার হন। রাস্তার ডিভাইডার পর্যন্ত তার ফোন চালু ছিল। এরপর থেকে তার অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আওলাদ হোসেন মামুন জানান, বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তার ব্যবহৃত সব ডিভাইস বন্ধ। আমাদের থানাধীন সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, তাওসিফ স্বাভাবিকভাবেই হেঁটে যাচ্ছেন। তিনি অপহৃত হয়েছে বলেও এখন পর্যন্ত মনে হয়নি। বিষয়টি সিনিয়ররাও গুরুত্বসহকারে দেখছেন।