× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সিলেটের সীমান্ত এলাকা

চোরাচালানের ‘নিরাপদ রুট’

কাওছার আহমদ, সিলেট

প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:৩৯ এএম

আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:৫২ এএম

সংগৃহীত ফটো

সংগৃহীত ফটো

সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে দেশে ঢুকছে ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল, গরু, মহিষ, চিনি, বিড়ি, পান, শাড়ি ও কসমেটিকসসহ নানা চোরাই পণ্য। আবার বাংলাদেশ থেকেও পাচার হচ্ছে মটরশুঁটি, গৃহপালিত পশু হাঁস-মুরগিসহ দেশীয় নানা পণ্য। দেশের সীমানা পাহারায় নিয়োজিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়েই নিষিদ্ধ এ কারবার দেদার চালিয়ে যাচ্ছে চোরাকারবারিরা। যদিও বিজিবির দাবি নিয়মিত অভিযানের কারণে চোরাচালান অনেকটা কমে এসেছে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী ছয় উপজেলাÑ কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ হলো চোরাচালানের নিরাপদ রুট। এ উপজেলাগুলোর অর্ধশতাধিক স্থান দিয়ে চোরাকারবার সংঘটিত হয়ে থাকে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকাকে টার্গেট করে চোরাকারবারিরা গড়ে তুলেছে চক্র। চোরাই পণ্যগুলো সীমান্ত থেকে সিলেট নগরীতে এসে হাত বদল হয়। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে।

সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিলেট নগরীতে বড় দুটি ইয়াবা ও চিনির চালান আটক করলে চোরাচালানের বিষয়টি আলোচনায় আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর নগরীর বটেশ্বর এলাকা থেকে সাড়ে ৫ হাজার পিস ইয়াবার একটি চালান আটক করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) শাহপরান থানা পুলিশ। এ সময় রায়হান উদ্দিন নামের এক যুবককেও আটক করা হয়। 

এর আগে ৩০ আগস্ট নগরীর আম্বরখানা পেট্রোলপাম্পের সামনে থেকে তিন মাদক কারবারিকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৬ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা। আটককৃতরা হলেনÑ জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মিল আলীর ছেলে মুহিবুর রহমান, বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পাঠাকইন গ্রামের মৃত জাবেদ আলীর ছেলে আজির উদ্দিন ও সুনামগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে রাসেল আহমদ। 

ওই চালানের মূল হোতা মুহিবুর রহমান নগরীর পীরমহল্লা এলাকার বাসিন্দা। আটকের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পীরমহল্লার বাসায় অভিযান চালিয়ে আরও ৯ হাজার পিস ইয়াবা, মাদক বিক্রির ৫০ হাজার টাকা ও লেনদেনের রসিদ উদ্ধার করে।

এ ছাড়া ২ সেপ্টেম্বর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানার উমাইরগাঁও এলাকা থেকে ভারতীয় ৩০ বস্তা চিনিসহ ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। এর আগের দিন গোয়াইনঘাটে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একটি মোটরসাইকেলসহ হাজীপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মাহবুবুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। ওই দিন পশ্চিম জাফলংয়ের বুগইলকান্দি গ্রামের আকবর আলী ও আমির আলীর বসতঘর থেকে ১০০ বস্তা চিনি উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার ভোরে ওই এলাকার পার্শ্ববর্তী ইছামতি নদীর তীর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় আরও ১২১ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করে পুলিশ।

এর তিন দিন আগে ২৮ আগস্ট সোমবার সিলেট নগরীর আম্বরখানার গোল্ডেন টাওয়ারের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে ১৪০ বস্তা ভারতীয় চিনির চালান জব্দ করে পুলিশ। 

গত ২২ আগস্ট গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের অভিযানে ভারতীয় ১০টি গরু আটক করা হয়। রুস্তমপুর ইউনিয়নের লামাহাদারপার গ্রামের লাল টিকির পার নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে পিয়াইন নদীর তীর থেকে গরুগুলো আটক করা হয়। 

এ ছাড়া কানাইঘাট উপজেলার সুরইঘাট, মঙ্গলপুর, আলুবাড়ি, নওয়াখান, বড়গ্রাম, লোভাছড়া, ভালুকমারা, ডনা, লোহাজুরি, কাড়াবাল্লা, জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রাম, খলাছড়া, জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা, লালাখাল, শ্রীপুর, সারিঘাটসহ বিয়ানীবাজার ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থান দিয়ে চোরাকারবার চলছে।

এ ব্যাপারে বিজিবি সিলেট সেক্টর সদর দপ্তরের অপারেশন অফিসার মেজর রাশেদ মাহমুদ বলেন, ‘চোরাচালান রোধে সীমান্তে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছি। চোরাকারবারিদের ঠেকাতে নানা কৌশল অবলম্বন করে বিজিবি সদস্যরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকেন। যার কারণে প্রতিদিন বিভিন্ন রকমের চোরাই পণ্য আটক করা হচ্ছে। এখন চোরাচালান অনেকটা কমে এসেছে।‌’

এসএমপির উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘নগরীর প্রবেশপথগুলোতে সব সময় পুলিশের নজরদারি থাকে। কাউকে সন্দেহ হলেই তল্লাশি করা হয়। এ ছাড়া যখনই আমাদের কাছে চোরাকারবারিদের বিষয়ে তথ্য আসে, তখনই অভিযান চালানো হয়।’

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম বলেন, ‘পুলিশ সাধারণত মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এরপরও সামনে কোনো কিছু পড়লে অথবা কোনো তথ্য পেলে সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালানো হয়।‌’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা