মেডিকেলে ভর্তি
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৪২ পিএম
আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৩ ১২:৪৭ পিএম
মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। প্রবা ফটো
মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে আরও পাঁচ চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের কেউ কেউ চিকিৎসক হয়েছেন জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে।
সোমবার (২০ আগস্ট) সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, ডা. মো. ইউনুচ উজ্জামান খাঁন তারিম, ডা. লুইস সৌরভ সরকার, ডা. মুসতাহিন হাসান লামিয়া, ডা. শর্মিষ্ঠা মণ্ডল ও ডা. নাজিয়া মেহজাবিন তিশা।
সিআইডির কর্মকর্তা আজাদ রহমান জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে ১৩ আগস্ট একই অভিযোগে সাত চিকিৎসকসহ মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাদের মধ্যে আটজন অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। কয়েকদিন ধরে অভিযান চালিয়ে খুলনা, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই পাঁচ চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের দেওয়া বিপুলসংখ্যক ব্যাংক চেক এবং অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া চক্রের অন্যতম সদস্য জসীম উদ্দিন ভূঁইয়ার কাছ থেকে একটি গোপন ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে চক্রের অন্য সদস্যদের নাম পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সম্পর্কে তিনি জানান, ইউনুচ উজ্জামান খাঁন তারিম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক। খুলনা শহরের আলোচিত মেডিকেল ভর্তি কোচিং থ্রি ডক্টরসের মালিক তিনি। তিনি নিজেকে ডাক্তার তৈরির কারিগর হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তিনি মেডিকেলের প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে শত শত শিক্ষার্থীকে ভর্তি করিয়ে অবৈধভাবে আয় করেছেন কোটি কোটি টাকা। তারিম ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ২৫ কোটি টাকার লেনদেন পাওয়া গেছে। হাসপাতাল, ফ্লাট, জমি, মাছের ঘের, হোটেল শেয়ারসহ গড়েছেন বিপুল সম্পদ। তারিমের বিরুদ্ধে একাধিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এর আগেও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ছিল।
আরও পড়ুন: থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের মালিক ডা. তারিম আটক
গ্রেপ্তার লুইস সৌরভ সরকার খুলনা মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি থ্রি ডক্টরসের শিক্ষক। বর্তমানে একটি বেসরকারি এনজিওতে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত।
মুসতাহিন হাসান লামিয়া ২০১৫-১৬ সেশনের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধায় ১১তম স্থান অর্জন করেন। তিনি খুলনা থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের পরিচালক তারিমের স্পেশাল ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তারিমের ঘনিষ্ঠ ও তৎকালীন কোচিংয়ের তিন শিক্ষক তার বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন। লামিয়ার ভর্তি জন্য তার স্বামী শেখ ওসমান গনি ও ডা. তারিমের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা লেনদেন হওয়ার তথ্য পেয়েছে সিআইডি।
শর্মিষ্ঠা মণ্ডল ও নাজিয়া মেহজাবিন তিশা ২০১৫-১৬ সেশনের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় তারিমের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন কিনে খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন।
সিআইডি আরও জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে।