× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মেডিকেলের প্রশ্নফাঁসে ৭ চিকিৎসক: ১৭ বছরে চক্রের আয় শত কোটি

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৩ ১৫:১৩ পিএম

আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৩ ১৬:৪৩ পিএম

প্রবা ফটো

প্রবা ফটো

মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত সাত চিকিৎসকসহ একটি চক্রের ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। চক্রটির অন্তত ৮০ জন সক্রিয় সদস্য প্রায় ১৭ বছরে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে অবৈধ উপায়ে মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি করিয়ে শত কোটি টাকা আয় করেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে সিআইডি।

রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি হেডকোয়ার্টারের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

তিনি বলেন, ‘আগামী ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা। সারা দেশের প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেবেন। বিগত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, পাবলিক পরীক্ষা এলেই এক শ্রেণির চক্র বেশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই চক্র নানা কায়দায় প্রশ্নফাঁস যেমন করে, তেমনি গুজব ছড়িয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভ্রান্তও করে। শিক্ষাখাতের ক্যান্সার হিসেবে বিবেচিত এসব প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রকে নির্মূল করতে নেতৃত্বস্থানীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সিআইডি।’

চক্রের খোঁজ

সিআইডি প্রধান বলেন, ‘দেশের সকল স্তরের প্রশ্নফাঁস বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে সিআইডির বিশেষায়িত একাধিক দল সারা বছর মাঠে কাজ করে ইতোমধ্যে এসএসসি, এইচএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা এবং বিসিএসসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসকারী সর্ববৃহৎ চক্রগুলোকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে নিয়মিত প্রশ্নফাঁসকারী বিশাল এক সিন্ডিকেটের খোঁজ পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ।’

এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় ২০২০ সালে হওয়া একটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে একটি চক্রের সন্ধান মেলে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘চক্রটির অন্তত ৮০ জন সক্রিয় সদস্য গত ১৭ বছরে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে অবৈধ উপায়ে মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি করিয়ে শত কোটি টাকা আয় করেছে। এরপর অভিযান চালিয়ে সাত চিকিৎসক চক্রটির ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

গ্রেপ্তার চিকিৎসকদের মধ্যে চারজন বিএনপি এবং একজন জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানান সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী।

তিনি আরও জানান, গত ৩০ জুলাই থেকে গত ৯ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, বরিশাল জেলায় অভিযান পরিচালনা করে এ চক্রটির ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির সাইবার টিম। গ্রেপ্তারদের মধ্যে সাতজনই চিকিৎসক। এদের প্রায় সবাই বিভিন্ন মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টার, নয়তো প্রাইভেট পড়ানোর আড়ালে প্রশ্নফাঁস করতেন।

ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে মেডিকেলে ভর্তি, হয়েছেন চিকিৎসকও

সিআইডি প্রধান বলেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে আটজন দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন; যাতে শতাধিক শিক্ষার্থীর নাম উঠে এসেছে, যারা প্রশ্ন পেয়ে মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন। ইতোমধ্যে অনেকে পাস করে চিকিৎসকও হয়ে গেছেন। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার কাজ চলছে।

গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের দেওয়া বিপুল সংখ্যক ব্যাংকের চেক এবং এডমিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ আলী বলেন, সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এছাড়াও চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসীম উদ্দিন ভূইয়ার কাছ থেকে একটি গোপন ডায়েরি উদ্ধার করা হয়, যেখানে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা তার চক্রের অন্যান্য সদস্যদের নাম রয়েছে। সেসব সদস্যদের ধরতে সিআইডির অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

১৬ বছরে অন্তত দশবার প্রশ্নফাঁস

সিআইডি প্রধান বলেন, তদন্তে উঠে এসেছে ২০০১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরে অন্তত ১০বার এই চক্র মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস করেছে। এদের ব্যাংক একাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে, যেগুলো মানিলন্ডারিং মামলায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে চিকিৎসক ময়েজ উদ্দিন আহমেদ প্রধান মেডিকেল প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে ফেইম নামক কোচিং সেন্টারে মাধ্যমে মেডিকেল প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়ান তিনি। কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে গত ২০ বছরে অবৈধভাবে শত শত শিক্ষার্থীকে মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছেন। ডাক্তার ময়েজ প্রশ্নপত্র ফাঁস ও মানিলন্ডারিং দুটি মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তিনি চিহ্নিত ছাত্রশিবির নেতা ও পরবর্তীতে জামাতের ডাক্তার হিসেবে পরিচিত।

মোহাম্মদ আলী বলেন, গ্রেপ্তার চিকিৎসক সোহেলী জামান প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের অন্যতম সদস্য। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চক্ষু ডাক্তার। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে ফেইম নামক কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে স্বামী ডা. ময়েজের মাধ্যমে মেডিকেল প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়ান তিনি। সেই কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে মেডিকেলের প্রশ্নপত্র ফাঁস করে অবৈধভাবে শত শত শিক্ষার্থীকে মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছেন।

প্রশ্ন পেয়ে ভর্তি হয়ে নিজেও জড়ান প্রশ্নফাঁস চক্রে

এই চক্রে আরও রয়েছেন গ্রেপ্তার চিকিৎসক আবু রায়হান, যিনি ঢাকা ডেন্টাল কলেজের ছাত্র ছিলেন। সিআইডি প্রধান বলেন, ২০০৫ সালে প্রশ্ন পেয়ে ঢাকা ডেন্টাল কলেজে ভর্তি হয়ে এই প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন আবু রায়হান। প্রাইমেট কোচিং সেন্টার চালাতেন। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্র্যাকটিস করেন।

চক্রের অন্যতম হোতা চিকিৎসক জেড এম সালেহীন শোভন। মেডিকেল প্রশ্নফাঁস মামলার এজাহারনামীয় আসামি তিনি। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাস করে থ্রি ডক্টরস নামক কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত হন। প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে শোভন বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। ২০১৫ সালে র‍্যাবের হাতে একবার গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন তিনি। এই চিকিৎসক স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ছাত্রদলের পদধারী নেতা ছিলেন।

চক্রের মাস্টারমাইন্ডের সহযোগী যুবদল কেন্দ্রীয় নেতা

ডা. মো. জোবাইদুর রহমান জনি। মেডিকো ভর্তি কোচিং সেন্টারের মালিক। বর্তমানে যুবদলের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক তিনি। ২০০৫ সাল থেকে এই চক্রে জড়িত। নামকরা বিভিন্ন চিকিৎসকের সন্তানদের চান্স পাইয়ে দিয়েছেন। চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসীমের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। এই ব্যবসা করে দামী গাড়ি-বাড়ি, ব্যাংকে নগদ অর্থসহ কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন। প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে অবৈধভাবে শত শত শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন। জোবাইদুর রহমান জনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। এরপর ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সম্পাদক। বর্তমানে যুবদলের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক তিনি।

সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল (নিটোর) চিকিৎসক জিল্লুর হাসান রনিও। ২০০৫ সাল থেকে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত হন তিনি। ২০১৫ সালের মেডিকেল পরীক্ষার সময় র‍্যাবের হাতে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে রংপুর থেকে গ্রেপ্তার হন। রংপুর মেডিকেলে অধ্যয়নকালে ছাত্রদল নেতা ছিলেন তিনি। বর্তমানে ড্যাবের সঙ্গে জড়িত এবং আহত বিএনপি নেতাদের চিকিৎসায় গঠিত টিমের একজন চিকিৎসক।

বাবার মাধ্যমে প্রশ্নফাঁস চক্রে জড়ান চিকিৎসক

মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, গ্রেপ্তার ডা. হিমেল বাবা আব্দুল কুদ্দুস সরকারের মাধ্যমে এই চক্রে জড়ান। বেসরকারি কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ থেকে ডাক্তারি পাস করেন তিনি। ২০১৫ সালে টাঙ্গাইলের আকুর টাকুর পাড়ায় নিজ শ্বশুর বাড়িতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন পড়িয়ে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে মেডিকেলে ভর্তি করান।

সিআইডি প্রধান জানান, গ্রেপ্তার জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মুক্তার মেডিকেল প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসীমের বড় ভাই ও স্বাস্থ্য-শিক্ষা ব্যুরো প্রেসের মেশিনম্যান সালামের খালাতো ভাই। তিনি নিজে আলাদা একটি চক্র চালাতেন। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।

আরেক গ্রেপ্তার রওশন আলী হিমু জসীমের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পুরনো সহযোগী বলে জানান সিআইডি প্রধান। তিনি বলেন, হিমু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। ২০০৬ সাল থেকে মেডিকেল প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এই চক্রে মাস্টারমাইন্ড জসীমের ঘনিষ্ঠ সহচর আক্তারুজ্জামান তুষার। মেডিকেল প্রশ্নফাঁস মামলার এজাহারনামীয় আসামি তিনি। ই-হক নামে কোচিং সেন্টার চালাতেন। ২০০৫ সাল থেকে এই চক্রের সঙ্গে জড়ান। ২০১৫ সালে রাবের হাতে একবার গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।

জসীমের আরেক পুরনো সহচর জহির উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী। রাজধানীর ফার্মগেটে ইউনিভার্সেল নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সহায়তা কেন্দ্র চালাতেন। ২০০৫ সাল থেকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রে জড়ান তিনি। প্রাইমেট, থ্রি ডক্টরসসহ বিভিন্ন মেডিকেল কোচিং সেন্টারে ফাঁসকৃত প্রশ্ন সরবরাহ করতেন তিনি। রাজনৈতিকভাবে যুবদলের কর্মী।

ছেলেকে নিয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন সাবেক প্রধান শিক্ষক

সিআইডি প্রধান জানান, গ্রেপ্তার আব্দুল কুদ্দুস সরকার টাঙ্গাইলের মিন্টু মেমোরিয়াল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসরে গেছেন। চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসীমের ঘনিষ্ঠ সহচর। ২০০৬ সালে মেয়েকে ভর্তির মাধ্যমে এই চক্রে জড়ান। এরপর ছেলে ইমরুল কায়েস হিমেলকে সঙ্গে নিয়ে টাঙ্গাইল এবং ময়মনসিংহে গড়ে তোলেন প্রশ্নফাঁসের সুবিশাল এক সিন্ডিকেট। জসীমের বাসায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল কুদ্দুসের। জসীমও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে নিয়মিত টাঙ্গাইল আসতেন।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা