× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

গর্ভের সন্তানের স্বীকৃতি দাবি করায় প্রেমিকাকে হত্যা

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৩ ০০:৫৫ এএম

আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২৩ ১১:৩৯ এএম

অভিযুক্ত আসামি মাসুদ। ছবি : সংগৃহীত

অভিযুক্ত আসামি মাসুদ। ছবি : সংগৃহীত

রংপুরের পীরগঞ্জে অন্তঃসত্তা নারীকে হত্যার ঘটনায় মাসুদ মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত সোমবার মধ্য রাতে গাজীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‍্যাবের দাবি, বিবাহিত মাসুদ গার্মেন্টে কাজের সূত্রে শান্তনার সঙ্গে প্রেমে করেন। বিয়ের আশ্বাসে তাদের শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনি সন্তান সম্ভাবা হন। গর্ভের সন্তানের পিতৃপরিচয়ের স্বীকিৃতি দাবি করে রংপুরের পীরগঞ্জে মাসুদের বাড়িতে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেন প্রেমিক।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকালে রাজধানী কারওয়ানবাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন তদন্তের তথ্য তুলে ধরে এসব দাবি করেন।

তার ভাষ্য গত ১৫ জুলাই রংপুরের পীরগঞ্জ থানার খালাশপীর এলাকায় আখ ক্ষেতের ভেতর থেকে অজ্ঞাতনামা (৩০) নারী ও নবজাতক কন্যা শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানার পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা ও লাশ গুমের মামলা করেন। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে নামে র‌্যাব, বাড়ায় গোয়েন্দা নজদারি।

আল মঈন দাবি করেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাতে গাজীপুরের গাছা থানার তারগাছ এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ হত্যার কথা স্বীকার করে সংশ্লিষ্টার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গত ১০ বছর ধরে আশুলিয়ার একটি গার্মেন্টে অপারেটর হিসেবে চাকরি করতেন মাসুদ। ২০২২ সালের ফ্রেরুয়ারিতে গার্মেন্টে যোগ দেন শান্তনা। একই গার্মেন্টে চাকরির সূত্রে তাদের প্রেম হয়। 

মাসুদের দেওয়া তথ্য মতে, শান্তনার বিয়ে হয়েছিল। তবে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। মাসুদ ও শান্তনা এক পর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে আশুলিয়া এলাকায় ভাড়ায় বাসায় একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। এই সূত্রে অন্তঃস্বত্তা হন শান্তনা। ফলে মাসুদকে প্রতিনিয়ত বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন তিনি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। মাসুদের বাড়িতে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে শান্তনাকে ঢাকায় রেখে কিছু দিনের জন্য গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে চলে যান। মাসুদের আগের বিয়ে সম্পর্কে শান্তনা জানতেন না।

ঘটনার বর্ণনায় কমান্ডার মঈন বলেন, গত ১২ জুলাই মাসুদের সন্ধানে তার গ্রামের বাড়ি রংপুরে যায় শান্তনা। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন মাসুদ বিবাহিত ও তার পুত্র সন্তান আছে। সেখানে শান্তনা তার গর্ভের সন্তানের স্বীকৃতি চান এবং তাকে বিয়ে করার জন্য মাসুদকে চাপ দেন। মাসুদের প্রথম স্ত্রী তা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান। এক পর্যায়ে মাসুদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য শান্তনাকে বিয়ে এবং কাবিন করার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে ঢাকায় গিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে আগের মতো আগের মতো একসঙ্গে থাকার কথা বলেন মাসুদ। গত ১৩ জুলাই মাসুদের খালা শান্তনাকে রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে গাড়িতে উঠিয়ে দেন। শান্তনার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে গাড়ি থেকে নেমে তার বাড়িতে ফেরত আসার জন্য বলেন মাসুদ।

র‌্যাব কর্মকর্তা মঈন জানান, শান্তনা গাড়ি থেকে নেমে বাসস্ট্যান্ড থেকে মাসুদের বাড়িতে যাওয়ার পথে খালাশপীর নামের স্থানে বড় আখ ক্ষেতের কাছে গেলে মাসুদ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ক্ষেতে যায় ও কৌশলে শান্তনাকেও ক্ষেত্রে নিয়ে যান। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, শান্তনাকে হত্যার উদ্দেশে তার পেছন থেকে ওড়না দিয়ে গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করেন এবং গলায় ও পেটে পা দিয়ে আঘাত করেন। ফলে শান্তনার গর্ভে থাকা সন্তান ভুমিষ্ঠ হয় এবং উভয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। মা ও নবজাতককে হত্যার পরে বাড়িতে যান মাসুদ। এরপর শান্তনা বাড়িতে গেছে কিনা জানতে চেয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মাসুদ। নিহতের পরিবার জানায়, শান্তনা বগুড়ায় তার বাড়িতে যাননি। এ তথ্য জানার পর শান্তনাকে খোঁজার জন্য পরিবারের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ধার করেন মাসুদ। এরপর সেই টাকা নিয়ে এসে গাজীপুরে এসে আত্মগোপন করেন তিনি। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা