× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

খামারের আড়ালে জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল গড়েন রাকিব : র‍্যাব

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৩ ১৫:৩৫ পিএম

আপডেট : ০৬ জুন ২০২৩ ১৫:৩৭ পিএম

জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফীল হিন্দাল শারক্বীয়ার শূরা সদস্য ও অর্থ শাখার প্রধানসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলন করেছে র‍্যাব। প্রবা ফটো

জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফীল হিন্দাল শারক্বীয়ার শূরা সদস্য ও অর্থ শাখার প্রধানসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলন করেছে র‍্যাব। প্রবা ফটো

জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফীল হিন্দাল শারক্বীয়ার শূরা সদস্য ও অর্থ শাখার প্রধান মোশারফ হোসেন ওরফে রাকিবসহ ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাব। বাহিনীটি বলছে, জঙ্গিবাদে জড়ানোর আগে রাকিব মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে শ্রমিক ছিলেন। জঙ্গিবাদে জড়িয়ে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে মুন্সিগঞ্জে গবাদি পশুর একটি খামার গড়ে তোলেন। সেখানে জঙ্গি সদস্যদের আশ্রয় দিতেন রাকিব। 

মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

গ্রেপ্তার অন্যরা হলে, জাকারিয়া হোসাইন ও আহাদুল ইসলাম মজুমদার ওরফে সিফাত ওরফে মামিদ। 

খন্দকার আল মঈন জানান, রাকিব মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালে সামাজিক মাধ্যমে আনসার আল ইসলামের শীর্ষ এক জঙ্গির মাধ্যমে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হন। ২০১৬ সালে দেশে ফিরে আনসার আল ইসলামে যোগ দেন। পাশাপাশি গার্মেন্টস পণ্যের ব্যবসা শুরু করেন। পরে যোগ দেন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায়। এই জঙ্গি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে তিনি সংগঠনের অর্থ সংগ্রহ ও সরবরাহ তত্ত্বাবধান শুরু করেন। আনসার আল ইসলাম থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা প্রাপ্তিপূর্বক তার কাছে জমা ছিল। 

র‍্যাব কর্মকর্তা মঈন জানান, রাকিব ঢাকার মুগদা এলাকায়ও কিছুদিন ছিলেন। সেখানে একটি হিজমা সেন্টার চালু করেন। এটির আড়ালে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালিত হতো। জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় ঢাকার সব শূরা কমিটির বৈঠক তার তত্ত্বাবধানে হতো। তাদের সংগঠনের শূরা সদস্য মামুনসহ আগে যারা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, তারা বিদেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে রাকিবের কাছে জমা রাখত। 

তিনি জানান, রাকিব সংগঠনের অর্থায়নে মুন্সিগঞ্জে গবাদি পশুর খামার স্থাপন করেন। তার সংগঠনের তথাকথিত হিজরতকৃত অধিকাংশ সদস্য এই খামারে বিভিন্ন সময়ে অবস্থান করত। সেখানে তাদের শারীরিক কসরত ও তাত্তিক জ্ঞান দেওয়া হতো। রাবিক সংগঠনের আমীর মাহমুদের নির্দেশে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, অস্ত্র ও রসদ কেনাসহ সংগঠনের অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য অর্থ সরবরাহ করত। শুকনা খাবারসহ পাহাড়ে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে পার্বত্য প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠাতেন। এছাড়াও স্বেচ্ছায় নিরুদ্ধেশ সদস্যদের পাহাড়ে পাঠানোর সামগ্রিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করতেন।

রাকিব বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ পরিচালনা ও সাংগঠনিক কাজে পার্বত্য অঞ্চলে প্রশিক্ষণ শিবিরে গমন করেছেন জানিয়ে র‌্যারেব এই কর্মকর্তা বলেন, পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরু হলে সংগঠনের আমীর মাহমুদের নির্দেশে রাকিব সমতলের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। আত্মগোপনে থেকে সংগঠনের অন্যান্য আত্মগোপনকৃত সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সংগঠনের সদস্যদের সংগঠিত করার চেষ্টা করতে থাকেন। পাহাড় থেকে পালানোর সময় তার কাছে সংগঠনের প্রায় ২০ লাখের বেশি টাকা জমা ছিল। এর মধ্য থেকে সংগঠনের বিভিন্ন কাজে ইতিমধ্যে প্রায় ৭ লাখের বেশি টাকা খরচ করেছে বলে জানা যায়। রাবিক গ্রেপ্তারকৃত দুই সদস্যকে নিয়ে গাজীপুর হয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুরের জঙ্গল এলাকায় অবস্থান করেন। সেখানে সংগঠনের আত্মগোপনকৃত অন্যান্য সদস্যদের একত্রিত করে আমীরের নেতৃত্বে পুনরায় সংগঠিত হওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন বলে জানা যায়।

র‍্যাব কর্মকর্তা খন্দকার মঈন জানান, সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্য র‍্যাব জানতে পারে রাকিব সংগঠনের কয়েকজন সদস্যসহ গাজীপুর হয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুরের দিকে যাচ্ছেন। সোমবার মধ্যরাতে র‌্যাব-১ ও ৭ এর গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে। সেখানে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন উগ্রবাদী লিফলেট জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার জাকারিয়ার বিষয়ে খন্দকার আল মঈন জানান, জাকারিয়া ২০২১ সালে রাকিবের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেন। তার পরিবারকে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে যাওয়ার কথা বলে সে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে ২০২২ সালের প্রথম দিকে সে রাকিবের মাধ্যমে বান্দরবানের থানচি ও বাকলাইপাড়া হয়ে কেটিসিতে গমন করে। পাহাড়ে গমনের পর বিভিন্ন অস্ত্র চালনাসহ বিভিন্ন ধরণের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। 

গ্রেপ্তার আহাদুলের বিষয়ে র‌্যাব জানায়, আহাদুল ২০১৮ সালে তার এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়ে সংগঠনের আমীর মাহমুদের সঙ্গে পরিচয় হয়। তার মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনে যোগ দেন আহাদুল। উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে তথাকথিত হিজরতের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন আহাদুল। প্রথমে প্রায় দুই মাস আমীর মাহমুদের বাসায় অবস্থান করেন এবং আমীরের ব্যক্তিগত সহযোগী ছিলেন। পরে মাহমুদের মাধ্যমে বান্দরবানের থানচি হয়ে কেটিসিতে গমন করেন। পাহাড়ে গমনের পর বিভিন্ন অস্ত্র চালনা, বোমা তৈরিসহ বিভিন্ন সশস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা