× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

আদালত চত্বর থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সেই দুই জঙ্গি দেশেই : সিটিটিসি

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:১০ পিএম

আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৪৭ পিএম

আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল সমন্বয়ক ফাতিয়া তাসনিম শিখা ও তার আশ্রয়দাতা হুসনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি। ছবি: সংগৃহীত

আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল সমন্বয়ক ফাতিয়া তাসনিম শিখা ও তার আশ্রয়দাতা হুসনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি। ছবি: সংগৃহীত

আদালত চত্বর থেকে ছিনিয়ে নেওয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের দুই সদস্য দেশেই অবস্থান করছে বলে দাবি করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। তাদের শিগগিরই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলেও জানায় সংস্থাটি।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অভিযান চালিয়ে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল সমন্বয়ক ফাতিমা তাসনিম শিখা ও তার আশ্রয়দাতা হুসনা আক্তার হুসনাকে গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি। এদের মধ্যে ফাতিয়া তাসনিম শিখা পালিয়ে যাওয়া জঙ্গি আবু সিদ্দিক সোহেলের স্ত্রী।

শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, গত ২০ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে-মুখে স্প্রে করে জঙ্গি সদস্য মইনুল হাসান শামিম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান ও আবু সিদ্দিক সোহেলকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

জঙ্গিরা সেদিন সদরঘাট হয়ে পালিয়ে গিয়ে ‘আনসার হাউসে’ অবস্থান নেয়।

আনসার আল ইসলামের নেতৃত্ব পর্যায়ের সিদ্ধান্তে দুইটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ১০-১২ জন সদস্য এ জঙ্গি ছিনতাইয়ে অংশ নেয়। চার জঙ্গিকেই ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও তারা দুইজনকে ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়। ছিনিয়ে নেওয়া ২ জঙ্গিসহ একটি গ্রুপ চলে যায় সদরঘাটে। সেখান থেকে তারা একটি ‘আনসার হাউসে’ গিয়ে অবস্থান নেয়। আনসার আল ইসলামের সেফ হাউসকে সাংগঠনিক ভাষায় আনসার হাউস বলা হয় বলে জানান আসাদুজ্জামান। 

গ্রেপ্তার শিখা এই জঙ্গি ছিনতাইয়ের মূল সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে উল্লেখ করে সিটিটিসি প্রধান বলেন, ছিনতাইয়ের ৬ মাস আগে তারা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুয়া এনআইডি ও ভুয়া পরিচয়ে একটি বাড়ি ভাড়া নেয়। নেতৃত্বপর্যায়ে নির্দেশে সংগঠনের আশকারী বিভাগের প্রধান আয়মানের নেতৃত্বে তারা সেখানে মিটিং করেন। শিখা ময়মনসিংহ থেকে এসে বৈঠকে অংশ নিতেন।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত জেলখানায় থাকা জঙ্গি সোহেলকে দিতেন শিখা। স্ত্রী পরিচয়ে দেখা করার সুযোগেই তিনি সংগঠনের তথ্য ও তাদেরকে ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা জানাতেন।

সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির এই কর্মকর্তা জানান, ঘটনার আগে ১ নভেম্বর শিখা, আয়মানসহ ছিনতাই অপারেশনে অংশ নেওয়া প্রত্যেকে আদালত প্রাঙ্গণে এসে পুরো এলাকা রেকি করেন। তারা কোন পথে পালাবেন, ছিনতাইয়ে ব্যর্থ হলে কী করবেন সেসব পুরো এলাকা রেকি করে নির্ধারণ করেন।

২০ নভেম্বর ঘটনার দিন আয়মান ও শিখা ঘটনাস্থল থেকে পুরো ছিনতাই ঘটনা মনিটরিং করেন। ছিনতাই হওয়া ২ জঙ্গিকে নিয়ে প্রথমে সদরঘাট যায়। সেখান থেকে তারা পূর্ব নির্ধারিত আনসার হাউসে গিয়ে অবস্থান নেয়। আয়মান ও শিখাসহ বাকিরা অন্যপথে গিয়ে সেই আনসার হাউসে মিলিত হয়।

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ থেকে শিখার আশ্রয়দাতা হুসনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গভীর রাতে রূপগঞ্জের একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেখানে ২ জঙ্গিকে পাওয়া যায়নি, তবে আমরা সেখান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করেছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পলাতক ২ জঙ্গি দেশেই আছে। আশা করছি শিগগিরই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’


কে এই শিখা

ফাতিয়া তাসনিম শিখা ২০১৪ সালে এমআইএসটি থেকে প্রথম শ্রেণিতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। একপর্যায়ে তার ভাই মোজ্জাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমনের মাধ্যমে সে আনসার আল ইসলামের আদর্শে দীক্ষিত হয়। পরে সায়মনের মাধ্যমে আবু সিদ্দীক সোহেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

সোহেল আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার সদস্য ছিলেন। সোহেলের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে সে আরও গভীরভাবে সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।

২০১৭ সালে মুক্তমনা ব্লগার অভিজিত রায়, দিপন ও নীলাদ্রি নিলয় হত্যা মামলার আসামি হিসাবে আবু সিদ্দিক সোহেল গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের পর থেকে বিভিন্ন এনক্রিপ্টেড অ্যাপসের মাধ্যমে শিখা কারাবন্দি সোহেলসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে সংগঠনের কার্যক্রমে সক্রিয় কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা