প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩ ১৩:৩৬ পিএম
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৩ ১৩:৫১ পিএম
রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান। ছবি: ফেসবুক
রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান রাজধানীর রামপুরার মহানগর আবাসিক এলাকাতেও অনেকের কাছেই চেনা মুখ। ওই এলাকার একটি বাসায় তিনি ভাড়া থাকতেন। সেখানকার লোকজন তাকে চিনতেন শেখ হৃদি নামের একজন মডেল হিসেবে।
তবে তার বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে ২০১৭ সালে ওই বাসায় অভিযান চালায় ডিবি। এরপর আর তাকে এলাকায় দেখা যায়নি।
পুলিশ হত্যা মামলার আসামি রবিউল ওরফে আরাভ খান বর্তমানে ভারতীয় নাগরিকত্ব ভিসায় দুবাইপ্রবাসী। সম্প্রতি আরাভ জুয়েলারি শপ উদ্বোধনের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন। দেশের বেশ কয়েকজন তারকা ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান তার দোকান উদ্বোধনে গেলে প্রতিদিনের বাংলাদেশের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিষয়টি সামনে আসে।
তার আগে দেশে থাকা অবস্থায় শোবিজ জগতের লোকজনের সঙ্গে চলাফেরা করা রবিউলের মহানগর আবাসিকের বাসাটিতে অনেক উঠতি মডেলের আনাগোনা ছিল বলে জানা গেছে।
মাদকসহ নানা বেআইনি কাজে যুক্ত এলাকার চিহ্নিত অপরাধীদের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে জানা গেছে।
পশ্চিম রামপুরার মহানগর আবাসিক এলাকায় বৃহস্পতিবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই এলাকার ৩ নম্বর সড়কে ফারুক ভিলা নামে এ-৭/এ নম্বর বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন রবিউল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় দুজন বাসিন্দা জানান, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের দিকে শেখ হৃদি নামের এক ব্যক্তি ফারুক ভিলার নিচতলায় থাকতেন। তিনি নিজেকে মডেল হিসেবে পরিচয় দিতেন। বাসার সামনে মাঝেমধ্যেই উঠতি মডেলদের দেখা যেত। মাদক ব্যবসা, বেটিংয়ে জড়িত অনেকের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। এ সময় শেখ হৃদি নামের তার একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টও খুলে দেখান একজন। তবে পত্রিকায় আরাভ খানের ছবি দেখার পর তারা বুঝতে পারেন, তাদের চেনা সেই শেখ হৃদি ও আরাভ খান একই ব্যক্তি।
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে ওই বাসায় একবার ডিবির দুই সদস্য এসে তার খোঁজ করেন। ওই সময় ডিবির লোকজন বলেছিলেন, শেখ হৃদি এলাকায় যে বাইকটি চালাতেন, সেটি রাজশাহী থেকে চুরি করে আনা। ওই বাইকের খোঁজে তারা বাসাটিতে অভিযান চালান। এরপর থেকে তাকে আর ওই এলাকায় দেখা যায়নি।
গত বুধবার প্রতিদিনের বাংলাদেশে আরাভ খানকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে অবাক হয়েছেন বলেও জানান স্থানীয় এই বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘যখন দেখলাম ওই ছেলে দুবাইয়ের মতো জায়গায় স্বর্ণের দোকান দিয়েছে, তখন আমি অবাক হয়ে গেছি। মাত্র পাঁচ-ছয় বছর আগেও যে একটি রুম ভাড়া নিয়ে থাকত, সে আজকে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। এটা কীভাবে সম্ভব?’ শুরু থেকেই তার চলাফেরা সন্দেহজনক ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।