সাতক্ষীরা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:০৭ পিএম
তালা উপজেলার কুটিঘাটায় কৃষিমেলার নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য আর জুয়ার আসর। প্রবা ফটো
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুটিঘাটায় কৃষিমেলার নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য আর জুয়ার আসর। প্রশাসনসহ অন্যান্য সবাইকে টাকা দিয়ে ‘ম্যানেজ’ করেই এসব করা হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন মেলা কমিটির সদস্য।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে ৭ দিনের জন্য এই মেলার অনুমোদন দিয়েছে প্রশাসন।
কৃষিমেলা নামকরণ হলেও কৃষি সংশ্লিষ্ট ষ্টল বা পণ্যের কোন সম্পৃক্ততা দেখা যায়নি মেলায়। সেখানে যাত্রাপালা ও পুতুল নাচের নামে চলছে উলঙ্গ নৃত্য। মেলাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বহিরাগত জুয়াড়ীদের আনাগোনা চলছে।
কুঠিঘাটা বাজারের অদূরে একটি মাঠের মধ্যে এই মেলার অনুমোদন দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু কৃষিমেলায় অনুমোদন নিয়ে একটি প্রভাবশালী মহল জুয়ার আসর বসিয়েছে। এর সাথে রয়েছে অশ্লীল নৃত্যের পরিবেশনা। অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের আশায় মাঠটি রাসেল নামের এক ব্যক্তি কিনেছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, মেলার মাঠে তেমন কোন দোকান পাট নেই। মাঠে দুটি যাদু প্রদর্শনী ও একটি যাত্রামঞ্চ থাকলেও সেখানে যাত্রা বা যাদু প্রদর্শনী চলে না। মঞ্চে অশ্লীল নৃত্য আর পেছনের বাগানে চলছে কয়েক প্রকারের জুয়ার বোর্ড। এ জুয়াকে কেন্দ্র করে এলকায় চুরি ছিনতাই বেড়েছে বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর।
মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য তুহিন হোসেন বলেন, ‘সবাইকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেই এসব করছি।’ আমাদের মাঠ চালাতে দেন- সাংবাদিকদের এমন কথা বলে তিনি আরো জানান, টাকা উপার্জনের আশায় মাঠটি কিনেছেন রাসেল।
ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘মেলায় অশ্লীলতা আর জুয়া খেলা ছাড়া জনকল্যাণের জন্য কিছু নেই। এ মেলার কারণে বহিরাগত জুয়াড়ীরা এসে এলাকার আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে। মেলা শুরু হওয়ার আগে আমি প্রশাসকের কাছে মেলাটি বন্ধের আবেদন করেছি। কিন্তু অদৃশ্য কারণে সেটি বন্ধ হয়নি।’
পাটকেলঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, ‘মেলায় এরকম হওয়ার কথা ছিলোনা। তবে আমি আভিযোগ পাওয়ার পর গত মঙ্গলবার রাতে বন্ধ করে দিয়েছি।’
তালা উপজেলার সহকারি ভূমি কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুসের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর ‘মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি’ বলে ফোন কেটে দেন তিনি।