× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

আলোচিত হত্যা মামলা ২

দায়সারা চার্জশিট, সন্তুষ্ট নন ফারুকীর পরিবার

পারভেজ খান, সাইফ বাবলু ও সুজন কৈরী

প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:৩৭ এএম

আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:১০ পিএম

 নূরুল ইসলাম ফারুকী

নূরুল ইসলাম ফারুকী

২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর গোপীবাগে পীর লুৎফর রহমান ফারুকসহ ছয়জন, ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট রাজাবাজারে বেসরকারি টেলিভিশনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের উপস্থাপক নূরুল ইসলাম ফারুকী এবং ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর বাড্ডায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও রহমানিয়া খানকায়ে শরিফের পীর খিজির খান খুন হন। দীর্ঘদিন কেটে গেলেও এসব হত্যাকাণ্ডের কোনোটির তদন্ত, কোনোটির বা বিচারকাজ শেষ হয়নি আজও। প্রশ্ন উঠেছে, এসব নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার আর তদন্ত কি আলোর মুখ দেখবে আদৌ? এই যে দীর্ঘসূত্রতা, তার পেছনেও কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে কি নাÑ এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এই ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আয়োজন। 

রাজধানীর রাজাবাজারের ভাড়াবাসায় ঢুকে বেশ কয়েকজন যুবক সিনেমার স্টাইলে পুরো পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে, হাত-পা বেঁধে হত্যা করে বেসরকারি টেলিভিশনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের উপস্থাপক নূরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যা করে। ২০১৪ সালের ওই ঘটনায় হওয়া মামলা পুলিশের তিনটি ইউনিট তদন্ত করে। ১০ বছর পর গত ৫ নভেম্বর সিআইডি মামলাটির চার্জশিট দিয়েছে। চার্জশিটে অভিযুক্ত জেএমবির ৬ সদস্য গ্রেপ্তার, যদিও অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদেরকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তিন অভিযুক্ত এখনও পলাতক। ধর্মীয় মতাদর্শ নিয়ে বিরোধের কারণেই এই হত্যাকাণ্ড এবং তার সঙ্গে ডাকাতির ঘটনা সাজানো হয় বলে তদন্ত সূত্রে জানা যায়। 

সূত্র আরও জানায়, জেএমবি সদস্যরাই ফারুকীকে হত্যা করেছে। আলোচিত এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার জঙ্গি হাদিসুর রহমান ওরফে সাগর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যায় অংশ নেওয়া ৯ জঙ্গির নামও বলেছে।

সিআইডি বলছে, ফারুকীর মতাদর্শ নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল জেএমবির একটি গ্রুপ। যার জেরে পেশাদার ডাকাতদের ভাড়া করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। কিলিং মিশনে ছয়জন অংশ নেয়। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখানো সংশ্লিষ্ট ৩ জন বাদে ১৫-১৬ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাদের সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায় নাই। 

২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট রাতে পূর্ব রাজাবাজারের বাসায় ঢুকে কয়েক যুবক নূরুল ইসলাম ফারুকীকে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন নিহতের ছেলে ফয়সাল। হাইকোর্ট মাজার জামে মসজিদের খতিব ছিলেন ফারুকী। তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের (মতিন) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ছিলেন।

ফারুকী হত্যা মামলাটি শুরুতে শেরেবাংলা নগর থানা তদন্ত করলেও ওই বছরই ডিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ডিবির তদন্তে অগ্রগতি না থাকায় ২০১৭ সালের দিকে তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। কয়েক মাস পর সাধারণ টিমের কাছ থেকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগে। ২০১৮ সালে সেখান থেকে দায়িত্ব পায় সিআইডির ঢাকা মেট্রোর পশ্চিম বিভাগ। ২০২১ সালে সেখান থেকে মামলার তদন্তভার পায় সিআইডির ঢাকা মেট্রোর দক্ষিণ বিভাগ। 

২০১৭ সালে তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, গুলশানে হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা মামলায় গ্রেপ্তার জঙ্গি হাদিসুর রহমান আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, ফারুকী হত্যাকাণ্ডে জেএমবির ৯ জন অংশ নিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের আগের দিন সন্ধ্যায় আশুলিয়ায় জঙ্গি মানিক, জামাই ফারুক, সাগর, আবদুল্লাহ আল তাসনীম ওরফে নাহিদ, আশফাকসহ অন্তত ৯ জন বৈঠকে করে হত্যার ছক চূড়ান্ত করে।

এর আগে মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ছিলেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সামসুন নাহার। তিনি তখন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ফারুকীর মতো একই কায়দায় খুনের শিকার হওয়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান খিজির খান ও আশুলিয়ায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার করা তিনজনকে ফারুকী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। ডিবির তৎকালীন যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম (বর্তমানে পলাতক) সে সময় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, খিজির খান, গোপীবাগে লুৎফরসহ ছয় খুন ও ফারুকী হত্যায় একই সিন্ডিকেট অংশ নিয়েছিল। 

ঘটনা নিয়ে পুলিশের একেকজনের বক্তব্য ছিল একেক ধরনের। কেউ বলছেন, এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে জেএমবির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। আবার কেউ বলছেন, শীর্ষ মহল জানে না, মাঝের সারির নেতারা এসব করেছে। ফারুকী হত্যা মামলায় তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সিআইডির ঢাকা মেট্রোর (দক্ষিণ) অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জিসানুল হক একবার 

বলেছিলেন, বিষয়টি জঙ্গিদের কাজ, সেটা বলা যাবে না। যেকোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। যদিও পরে তিনিই আবার বলেছিলেন, এটা জেএমবিরই কাজ। 

হত্যাকাণ্ডের ১০ বছরে এর তদন্তভার আটজন কর্মকর্তার কাছে হাতবদল হয়। ২০২২ সালের শুরুতে সিআইডির উপমহাপরিদর্শক ইমাম হোসেন বলেন, তদন্ত কার্যক্রম প্রায় শেষ। শিগগির আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে। কিন্তু সেই ‘শিগগির’ শেষ হয়নি এতদিনেও।

নিহত ফারুকীর ছেলে মাওলানা ফুয়াদ আল ফারুকী এই প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনার পর প্রশাসনের অনেকের কাছেই তারা গেছেন। তাদের কেউ কেউ তখন বলেছেন, ‘আমরা জানলেও বলতে পারব না, আমাদের হাত-পা বাঁধা। তাদের মধ্যেও আব্বুর ভক্তও ছিলেন অনেকে। যে কারণেই হোক আওয়ামী লীগ সরকার তার বাবার হত্যাকাণ্ড তদন্ত ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিল বলে অভিযোগ তার। 

ফুয়াদ বলেন, বর্তমান সরকারের কাছে দাবি আব্বুর মামলাটির বিচারে যেন প্রকৃত আসামিরা শনাক্ত হয় এবং সাজা পায়।

পুলিশ ও আদালত সূত্রমতে, নূরুল ইসলাম ফারুকী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামির জবানবন্দিতে নাম আসা অন্তত ৪ ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১০ বছর পর নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির অনুসারী ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে গত নভেম্বরে। চার্জশিটে নাম আসা ৩ আসামি এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। অন্য ৩ আসামি জামিনে আছে। এসব নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ফারুকীর ছেলে ও মামলার বাদী ফয়সাল ফারুকী। তার ভাষ্য, পুলিশ চার্জশিট দিয়েছে এটা জেনেছি, তবে চার্জশিটে কী লেখা ছিল, কী কারণে কারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা জানতে পারিনি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখনও শঙ্কায় থাকতে হচ্ছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কাশেম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি জেএমবির সদস্য হাদিসুর রহমান সাগর ওরফে জুলফিকার ওরফে সাদবিন আবু ওয়াক্কাস, ওরফে আবু আল বাঙ্গালী ওরফে আবদুল্লাহ স্যার ওরফে তৌফিক আমজাদ এবং আবদুল্লাহ আল তাসমিন ওরফে নাহিদের দেওয়া জবানবন্দির সূত্র ধরে তিনি দেড় বছর ধরে তদন্ত শেষে ফারুকী হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছেন। 

আবুল কাশেম জানান, তদন্তকালে তিনি জানতে পেরেছেন ফারুকী হত্যায় ১২ জন অংশ নেয়, যারা প্রত্যেকেই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য। সরাসরি কিলিংয়ে অংশ নেওয়া ১২ জন ছাড়াও বাইরে আরেকটি গ্রুপ ছিল সহযোগিতার জন্য। তদন্তে তিনি হত্যায় অংশ নেওয়া ৬ জনের পরিচয় পাওয়ায় তাদেরকে চার্জশিটে অভিযুক্ত করেছেন। নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় অপর ৬ জনকে অভিযুক্ত করা সম্ভব হয়নি। যে ৬ জনের নামে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ৩ জন গ্রেপ্তার হয়নি। অন্য ৩ জনকে ডিবি আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল। পরে এ হত্যা মামলায় তাদের শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। অবশ্য এই তিনজনও এখন জামিনে আছে। 

মামলার বাদী ফয়সাল ফারুকী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, পুলিশ যদি মনে করে তার বাবাকে জেএমবির সদস্যরা হত্যা করেছে এবং এর যদি প্রমাণ থাকে, তাহলে এই চার্জশিট নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তিনি বলেন, যাদের নামে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে, তাদের ৩ জন আগে থেকেই অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে ছিল। শুনেছি, তারা জামিন পেয়ে গেছে। চার্জশিটে নাম থাকা আরও ৩ জনকে পুলিশ এতদিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আর ৪ জনকে শনাক্ত করতে পারেনি বলে চার্জশিটে নাম দেওয়া হয়নি। এটি পুলিশের তদন্তের ব্যর্থতা বলে আমি মনে করি। 

চার্জশিটভুক্ত ৬ জন

ফারুকী হত্যায় জেএমবির যে ৬ সদস্যর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে তারা হচ্ছেÑ হাদিসুর রহমান ওরফে সাগর ওরফে জুলফিকার ওরফে সাদ বিন আবু ওয়াক্কাস ওরফে আবু আল বাঙ্গালী ওরফে আবদুল্ল্যা স্যার ওরফে তৌফিক আমজাদ, ঢাকার ধামরাই এলাকার আবদুল্লাহ আল তাসিমন ওরফে নাহিদ, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার রফিকুল ইসলাম রুবেল ওরফে ফারদীন, আবু রায়হান ওরফে মাহমুদ ওরফে আব্দুল হাদী, চাঁদপুরের মাহমুদ ইবনে বাশার এবং রতন চৌধুরী ওরফে রিপন ওরফে রাকিবুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ। এদের মধ্যে ফারদীন, হাদী ও বাশার পলাতক।

অপরাধ প্রমাণ হলেও পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া সম্ভব হয়নি তারা হচ্ছেÑ জামাই ফারুক, নাঈম, ইমন, হাফেজ কবির, আশফাক ই আজম ওরফে মোস্তাফিজুর রহমান সিফাত ওরফে আপেল এবং খোরশেদ আলম ওরফে রুবেল।

তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেন, চার্জশিটভুক্ত ছয় আসামির মধ্যে হাদিসুর রহমান সাগর ও আব্দুল্লাহ আল তাসনিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতেই উঠে আসে ফারুকী হত্যাকাণ্ডের আদ্যোপান্ত। সাগরের জবানবন্দিতে জানা যায়, জেএমবি নেতা সাঈদুর রহমানের (কারাবন্দি) নেতৃত্বাধীন একটি, আবদুর রহমান ওরফে সারওয়ার জাহান মানিক ও চিকিৎসক নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে আরেকটি গ্রুপও ফারুকী হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়।

চার্জশিটে বলা হয়, হজে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে হত্যাকাণ্ডের এক দিন আগে দুজন ব্যক্তি নূরুল ইসলাম ফারুকীর বাসায় যান। ওইদিন তিনি বাসায় ছিলেন না। পরে তারা আবার আসবেন বলে চলে যান। হত্যাকাণ্ডের দিন আবার নতুন দুজন ফারুকীর বাসায় যান। ওই সময় ফারুকী বাসায় ছিলেন। পরে আরও ১০ জন ভেতরে ঢোকেন। তাদের বসার জন্য চেয়ার আনতে বাসার ভেতরে আরেকটি রুমে যান ফারুকীর ভাগিনা। ফিরে এসে দেখেন ফারুকীর গলায় ছুরি ও মাথায় পিস্তল ঠেকানো। একপর্যায়ে জঙ্গিরা বাসায় থাকা অন্য সদস্যদের বেঁধে ফেলেন। নিচে থাকা আরও দুজন নারী ও পুরুষকেও বেঁধে ফেলা হয়। একপর্যায়ে তারা ফারুকীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। 

চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জেএমবির শীর্ষ নেতা আনোয়ার হোসেন ফারুক ওরফে জামাই ফারুক। যিনি ২০১৬ সালে কলকাতায় ওই দেশের স্পেশাল টাস্কফোর্স সদস্যদের হাতে গ্রেপ্তার হন। জামাই ফারুক ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজনভ্যানে হামলা চালিয়ে জেএমবির তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত। এ ছাড়া একই বছর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণ মামলায়ও অভিযুক্ত আসামি। জামাই ফারুক ভারতে গ্রেপ্তার আছে বলে মনে করা হয়।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা