প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:২১ পিএম
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৪১ পিএম
মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ। ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বহুল আলোচিত এবং বিতর্কিত সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ ও তার পরিবারের ১২ সদস্যকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এক তলবি নোটিসে আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন তারিখে তাদের দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুদক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নোটিসে হারুন-অর-রশীদ, তার স্ত্রী শিরিন আক্তার, মা জহুরা খাতুন, ভাই এবিএম শাহরিয়ার, শ্বশুর মো. সোলায়মান, দুই চাচা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মতিউর রহমানকে আগামী ৩১ অক্টোবর দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে হারুন-অর-রশীদের মামা মো. সুমরাজ মিয়া, খালা মোছা. মিনারা বেগম, ব্যবসায়িক অংশীদার মো. আলাউদ্দিন আল সোহেল, চাচাতো ভাই আল রাসেল ও ব্যবসায়িক অংশীদার রাকিব উদ্দিন দেওয়ান রতনকে আগামী ৩ নভেম্বর দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।
নোটিসে বলা হয়, সাবেক ডিবিপ্রধান, বর্তমানে-অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ডিএমপি, ঢাকা এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ডাকা হয়েছে।
গত ১৮ আগস্ট হারুনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে শুরু করে দুদক। অভিযোগ আছে- অবৈধ সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ কিশোরগঞ্জে নিজ এলাকায় গড়ে তুলেছেন ‘প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট’ নামে বিলাসবহুল প্রমোদাগার। জেলার মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে ৪০ একরেরও বেশি জায়গা নিয়ে রিসোর্টটি তৈরি করা হয়েছে।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) দেশের সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে সাবেক ডিবিপ্রধান ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে নির্দেশ দেয়।
হারুন ছাড়াও তার বাবা-মা, স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে বা বোনের যৌথ নামে অথবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও তলব করেছে সিআইসি।
এর আগে হারুন ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছিল বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
এনবিআর সূত্র জানায়, সম্প্রতি সিআইসি হারুন ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করেছিল।