চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৪৫ পিএম
চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালত। ছবি : সংগৃহীত
শীর্ষ ঋণ খেলাপি প্রতিষ্ঠান ইমাম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ আলীকে বিদেশ থেকে ফেরাতে সোনালী ব্যাংক কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ বিষয়ে জানতে চান।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম শাহেদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের ২১ মে সোনালী ব্যাংকের করা ঋণ খেলাপি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মোহাম্মদ আলীকে দেশে ফেরত আনার নির্দেশনা দেয় আদালত। আদেশে পুলিশ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সোনালী ব্যাংককে পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলা হয়। ওই আদেশ দেওয়ার এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এ বিষয়ে কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি। তাই কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন আদালত।’
মোহাম্মদ আলী একসময় ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের (এনসিসি) পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কাছে সোনালী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণ ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ঋণ পরিশোধ না করে মোহাম্মদ আলী স্ত্রীসহ দুবাই পালিয়ে যান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করায় ২০১২ সালে মোহাম্মদ আলীসহ ইমাম গ্রুপের তিন মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করে সোনালী ব্যাংক। মামলায় ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল আদালত ৮১ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধের আদেশ দিয়ে ডিক্রি জারি করেন। এরপর ৬০ দিনের মধ্যে আদালত ঋণ পরিশোধের নির্দেশ দিলেও আসামিরা ঋণ পরিশোধ না করায় ব্যাংক ১৮৪ কোটি টাকা ঋণ আদায়ে আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থঋণ জারি মামলা করে।
ওই মামলায় সম্প্রতি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে দেওয়ানি আটকাদেশসহ ইন্টারপোলের (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন) মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করে। ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় দুবাই থেকে মোহাম্মদ আলীকে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সোনালী ব্যাংকের পিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দেন আদালত।