প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৪ ২০:৩০ পিএম
আপডেট : ১১ জুন ২০২৪ ২১:১৫ পিএম
একক সিদ্ধান্তে চারটি মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫৩ কোটি টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফের অভিযোগে কাস্টমস কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১১ জুন) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. শাহ আলম শেখ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওয়াহিদার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২১৮/৪০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়। দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এজাহারে ওয়াহিদার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইনবহির্ভূতভাবে একক নির্বাহী সিদ্ধান্তে ১৬টি নথিতে ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফ করে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয।
এতে বলা হয়, ওয়াহিদা রহমান মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেলকে ওই সুবিধা দিয়েছিলেন। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কমিশনার হিসেবে অবসরে যান। বর্তমানে তিনি অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) আছেন।
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, চারটি প্রতিষ্ঠানের স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর আইনিভাবে কর প্রযোজ্য হওয়ায় তা মেনে নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে যথাসময়ে ১৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা বলে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত কর মেয়াদে তা পরিশোধ না করায় মূসক আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য হারে প্রদেয় সুদের পরিমাণ হয় ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা। মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১-এর ধারা ৩৭(৩) অনুসারে সুদ আদায়ের জন্য কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী অতি দ্রুত সুদের হিসাব করার নির্দেশ দেন।
সুদ হিসাবে সরকারের পাওনা অর্থের মধ্যে গ্রামীণফোন লিমিটেডের কাছে ৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭ টাকা, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনের কাছে ৫৭ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫১ টাকা, রবি আজিয়াটার কাছে ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬ টাকা এবং এয়ারটেল বাংলাদেশের কাছে ২০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ টাকা রয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিন থেকে পাঁচ মাস পর ভিন্ন আদেশে ওই সুদ মওকুফ করে দেন ওয়াহিদা রহমান। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সদস্য হোসেন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত টিমের প্রতিবেদনেও এর সত্যতা পাওয়া যায়।