ধান কাটার মৌসুম বলেই ভোটার উপস্থিতি কম : ইসি আহসান হাবিব

ধান কাটার মৌসুম বলেই ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা শেষে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় মাগুরা ও নড়াইলের রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা একসময় বিশ্বে রোল মডেল হবে। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে সারা দেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলব না। ধান কাটার মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে।’ 

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে, তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে। একই সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।‘

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে, তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারও পক্ষে, আবার কারও বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ রাখতে হবে ‘ এ সময় নির্বাচনসংশ্লিষ্টদের প্রেস ক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি।

উপজেলা নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা কেবল ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।’