চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৪ ২৩:১৩ পিএম
উদ্ধার করা হয়েছে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান। বৃহস্পতিবার রাতে কর্ণফুলী নদীর মোহনায়। প্রবা ফটো
ইঞ্জিনে আগুনের ঘটনায় কর্ণফুলী নদীতে আঁচড়ে পড়া বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কর্ণফুলী নদীর মোহনা থেকে বিধ্বস্ত অবস্থায় বিমানটি উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সংস্থাটির উদ্ধারকারী জাহাজ বলবানর সহায়তায় বিমানটি উদ্ধার করা হয় বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন বোটক্লাবের পাশে কর্ণফুলী নদীতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর তাতে আগুন ধরে যায়। এ সময় পাইলটরা বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে সক্ষম না হওয়ায় পরে দুই পাইলট প্যারাসুটের মাধ্যমে অবতরণ করেন। একই সময় বিমানটি বিধস্ত হয়ে বোট ক্লাবের পাশে নদীতে ধসে পড়ে। এতে বিমানের এক পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান। একই দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা আরেক পাইলট উইং কমান্ডার সোহান হাসান খাঁন সুস্থ আছেন।
দুর্ঘটনার পর নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা ঘটনাস্থলে এসে বিমানটি উদ্ধারে কাজ শুরু করেন। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে এসে জাহাজটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিশেষ টিম সোয়াডস। বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নৌবাহিনীর এই বিশেষ টিম। দিনভর চেষ্টা শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সংস্থাটি বিমানটি উদ্ধারে সক্ষম হন।
ঘটনাস্থলে থাকা নৌবাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, উদ্ধার তৎপরতায় সংস্থাটির উদ্ধার যান বলবানসহ বেশ কয়েকটি নৌযান কাজ করে। কিন্তু নদীতে জোয়ার থাকায় কাজ চালিয়ে যেতে তাদের বেগ পেতে হয়। জোয়ারের কারণে বিধ্বস্ত বিমানটি এক স্থান থেকে অন্যস্থানে সরে যায়। এরপর তারা আধুনিক সোনার প্রযুক্তি ব্যবহার করে জাহাজটির অবস্থান শনাক্ত করেন। পরে নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ বলবানের সাহায্যে রাত সাড়ে নয়টার দিকে পুরো বিধ্বস্ত বিমানটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় নৌবাহিনী।