নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৪ ১৮:২৮ পিএম
আপডেট : ০৯ মে ২০২৪ ১৮:৩৬ পিএম
বৃহস্পতিবার দুপুরে মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শাহদাত হোসেন। প্রবা ফটো
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে পারেননি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন। যাচাই বাছাইয়ের পর আপিল করেও ফেরাতে পারেননি তার বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্র।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
জানা গেছে, গত ৫ মে যাচাই-বাছাইয়ে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন রাখায় ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। তারপর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বরাবর আপিল করেন শাহদাত হোসেন। আজ দুপুরে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান একই কারণে আবারও তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ চারজন প্রার্থীর আপিল শুনানি ছিল। হলফনামায় তথ্য গোপন রাখায় তাদের সবার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তার মধ্যে কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে শাহদাত হোসেনও রয়েছেন।
এ ব্যাপারে শাহদাত হোসেন বলেন, আমার নামে যে মামলা ছিল তা আমার জানা ছিল না। আমি সব মামলায় খালাস পেয়েছি। কাগজপত্রও জমা দিয়েছি। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, জেলা প্রশাসক তা খেয়াল করেননি। আপিলে তিনি মনোনয়ন বাতিল করেছেন।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।