মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৪ ২০:৪৪ পিএম
আপডেট : ০৮ মে ২০২৪ ২০:৫৮ পিএম
প্রতীকী ছবি।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় কর্মরত এক সাঁওতাল তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যাংকিং শাখার উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে। কর্মস্থলে জুসের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী।
এ ঘটনায় বুধবার (৮ মে) দুজনকে আসামি করে আদালতে ধর্ষণ মামলা করেছেন ওই তরুণী। এর আগে রবিবার (৫ মে) দুপুরে উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের বলদিপুকুর বাজারে অবস্থিত ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার কার্যালয়ে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন মিঠাপুকুর থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেছিলেন ওই তরুণী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, প্রায় দুই বছর ধরে ওই তরুণী বাড়িসংলগ্ন বলদিপুকুর বাজারে অবস্থিত ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় উদ্যোক্তা আব্দুর রাজ্জাকের অধীনে কর্মরত ছিলেন। কর্মরত থাকাকালীন বিভিন্ন সময় আব্দুর রাজ্জাক তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।
৫ মে দুপুরে আব্দুর রাজ্জাক অফিসে এসে তার সহযোগী সিদ্দিকুর রহমান সোহানকে জুস নিয়ে আসতে বলেন। সোহান তিনটি জুস নিয়ে এসে নিজে একটি এবং আব্দুর রাজ্জাকসহ ওই তরুণীকে একটি করে জুস দেয়। জুস খাওয়ার পর ওই তরুণী অচেতন হয় পড়েন। বিকাল তিনটার দিকে জেগে উঠে দেখেন আব্দুর রাজ্জাক তাকে দুই হাতে চেপে ধরে আছেন। পরে ওই তরুণী তার মাকে ফোন দিলে তার মা এসে তাকে অফিস থেকে নিজবাড়িতে নিয়ে যান।
এদিকে ঘটনার সূত্র ধরে সোমবার বিকালে ১০ থেকে ১২ জন কিশোর ওই ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা কার্যালয়ে ঢুকে আব্দুর রাজ্জাককে মারধর ও ভাঙচুর চালায়। তবে আব্দুর রাজ্জাকের দাবি, হামলার সময় তার অফিসের ড্রয়ারের তালা ভেঙে প্রায় ১৫ লাখ টাকা লুট করা হয়েছে এবং তিন লাখ টাকার মালামাল ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলার সময় উপস্থিত জনতা সজিব পাহান (২০) ও কনক পাহান (২০) নামে দুই তরুণকে আটক করে পুলিশে দেয়।
ধর্ষণের বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক জানান, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওই তরুণীর সম্পর্কের কারণে তার প্রেমিক অফিসে নিয়মিত আসতেন। দায়িত্ববোধ থেকে তীব্র নজরদারি এবং তাকে বাধা দেওয়াই ছিল অপরাধ।
মামলার অভিযোগে ওই তরুণী তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেও প্রতিবেদককে জানান, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না সেটা তার সুস্পষ্ট ধারণা নেই। অচেতন হওয়ার পর যখন তার জ্ঞান ফেরে তখন তিনি স্বাভাবিক ছিলেন।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাক একটি এবং ধর্ষণের অভিযোগে ওই তরুণী মামলা করেছেন। আব্দুর রাজ্জাককে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত রাজ্জাকসহ সোহানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।