গোপালগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৪ ২০:৫৭ পিএম
আপডেট : ০৭ মে ২০২৪ ২২:১৫ পিএম
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে দাফনের ২০ দিন পর মঙ্গলবার বিকালে ব্যবসায়ীর মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। প্রবা ফটো
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে দাফনের ২০ দিন পর কবর থেকে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ তোলা হয়েছে। মৃত ব্যবসায়ীর বোনের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার (৭ মে) বিকালে কবর থেকে মরদেহটি তোলা হয়েছে।
পরে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত হাবিবুর রহমান মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের মুনিরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে ২৯ এপ্রিল ভাতিজা সালমান ফরাজিসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন হাবিবুর রহমানের বোন মোসা. আঞ্জুল হক।
তিনি অভিযোগ করেন, ১৯ মার্চ জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ এনে হাবিবুর রহমান তার ভাতিজা সালমানের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন। এরপর সালমান ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা হাবিবুরকে হত্যার হুমকি দেয়। এরপর হাবিবুর আদালতে হত্যার হুমকির অভিযোগে একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ১৭ এপ্রিল পূর্বপরিকল্পিতভাবে হাবিবুরকে হত্যা করে সড়ক দুর্ঘটনা বলে অপপ্রচার চালায় ভাতিজা সালমান। এরপর তার দলবল নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই হাবিবুরের মরদেহ দাফন করে।
দুর্ঘটনা নয়, সম্পত্তির দ্বন্দ্বের কারণে হাবিবুরকে হত্যা করা হয়েছে বলে আঞ্জুল হকের মামলা ও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেয়।
মঙ্গলবার বিকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুন শরিফের উপস্থিতিতে মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের মুনিরকান্দি গ্রামের কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।