গোপালগঞ্জে বজ্রপাতে প্রাণ গেল তিনজনের

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী, মুকসুদপুর ও কোটালীপাড়া উপজেলায় ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে তিনজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুটি গরু নিহত হয়েছে। সোমবার (৬ মে) বিকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন মুকসুদপুর উপজেলার উজানী ইউনিয়নের বরম পাল্টা গ্রামের অমৃত পাণ্ডে, খুলনার বটিয়াঘাটা থেকে কাশিয়ানীর পাথর গ্রামে ধান কাটতে আসা শ্রমিক সুকান্ত এবং কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী গ্রামের আলমগীর শেখ।

উজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শ্যামলকান্তি বোস জানান, সোমবার বিকালে বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হয়। এ সময় ধান কেটে মাথায় ধানের বোঝা নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় অমৃত পাণ্ডে বজ্রপাতে আহত হন। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অমৃত পাণ্ডে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।

অন্যদিকে কাশিয়ানী উপজেলার হাতিয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেবদুলাল বিশ্বাস জানান, পাথর গ্রামের মিহির বিশ্বাসের জমির ধান কাটতে আসা খুলনার বটিয়াঘাটার সুকান্ত বিকালে পাথর গ্রামের মিহির বিশ্বাসের জমিতে ধান কাটতে যান। ধান বোঝাই করে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে সুকান্তের শরীর ঝলসে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। বজ্রপাতে সুকান্তের এক সহকর্মীও আহত হন।

এদিকে সন্ধ্যায় কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে আলমগীর শেখ একই উপজেলার পিঞ্জরী ইউনিয়নের চরগোপালপুর গ্রামে ধান কাটতে গিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রপাতে নিহত হন। আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাফেজা বেগম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ ছাড়া কোটালীপাড়া উপজেলার নলুয়া গ্রামের অখিল হালদারের গোয়ালঘরে থাকা দুটি গাভি বজ্রপাতে নিহত হয়।

গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, সোমবার সকাল থেকে গোপালগঞ্জের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বৃষ্টি শুরু হয় বিকাল সাড়ে ৫টায়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮.২ মিলিমিটার। ১২মে পর্যন্ত মাঝে মাঝে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।