যুব মহিলা লীগ
ময়মনসিংহ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৪ ২২:৫৯ পিএম
অভিযুক্ত স্বপ্না খন্দকার।
ময়মনসিংহে যুব মহিলা লীগের উপজেলা পর্যায়ের এক নেত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে মারধরের পর আপত্তিরকর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ উঠেছে একই সংগঠনের জেলা শাখার আরেক নেত্রীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (৬ মে) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রানী ইসলাম। তিনি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক। অভিযুক্ত নেত্রীর নাম স্বপ্না খন্দকার- তিনি যুব মহিলা লীগের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রানী ইসলাম জানান, একই সংগঠনের রাজনীতি করার সুবাদে কয়েক বছর আগে স্বপ্নার সঙ্গে তার পরিচয়। সেই সূত্র ধরে বছর দুয়েক আগে তাকে নিজের ময়মনসিংহ নগরীর শান্তিনগরের বাসায় নিয়ে যান স্বপ্না। সেখানে তিনি ও তার লোকজন রানীকে মারধর করেন। এরপর রানীকে বাধ্য করে অচেনা এক লোকের সঙ্গে তার আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করা হয়। সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দুই বছর ধরে কয়েক দফায় স্বপ্না লক্ষাধিক টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন রানী।
তিনি আরও অভিযোগ করেন জানান, সম্প্রতি ওই ভিডিও একটি আইডি থেকে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। পরে সেটি স্বপ্নার আইডি থেকে ভাইরাল করা হয়।
রানী বলেন, এ ঘটনার পর ২ মে ময়মনসিংহ সাইবার আদালতে মামলা করেছেন। মামলায় স্বপ্না খন্দকার ছাড়াও তার স্বামী মশিউর রহমান রানা, কথিত ভাই কাজী বাবু, হীরা, মশিউর রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত কোতোয়ালী থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
রানীর দাবি, তার মতো আরও অনেকে স্বপ্নার ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার শিকার হয়েছেন। কিন্তু রাজনৈতিক পরিচয় থাকার স্বপ্নার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পান না কেউ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সব অভিযোগ অস্বীকার করে স্বপ্না খন্দকার বলেন, তাকে সমাজে হেয় করার জন্য সংবাদ সম্মেলন করে এসব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
আদালতের নির্দেশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মাইন উদ্দিন বলেন, আদালত থেকে তাকে একটি অভিযোগ তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা কাজ করবেন বলে জানান।