বরগুনা সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৪ ২০:৪৮ পিএম
আপডেট : ০৬ মে ২০২৪ ২১:২৬ পিএম
বরগুনা সার্কিট হাউসের কনফারেন্স রুমে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম। প্রবা ফটো
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, ‘বিনা কারণে সাংবাদিকদের হয়রানি করা যাবে না। সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পূর্ব অনুমতি নিতে হবে—এটা সংবিধানে লেখা নেই। সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারেও প্রেস কাউন্সিলের অনুমতি লাগবে, এটা আমি মনে করি।’
সোমবার (৬ মে) দুপুরে বরগুনা সার্কিট হাউসের কনফারেন্স রুমে ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’ শীর্ষক সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নিজামুল হক নাসিম বলেন, ‘সাংবাদিকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক নির্ধারণ করে একটি আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। তবে যাদের অন্তত পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা আছে তাদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে না। সাংবাদিকদের জন্য পে স্কেল থাকতে হবে। নিয়োগপত্রে কমিশন বাবদ শতকরা ৩০ শতাংশ বিজ্ঞাপনের হার উল্লেখ থাকলে সে তো আর সাংবাদিক হয় না, সে হয় বিজ্ঞাপন কালেক্টর। এজন্য পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে।’
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের আয়োজনে কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেস কাউন্সিলের সচিব (অতিরিক্ত সচিব) শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও বরগুনা পুলিশ সুপার আব্দুস ছালাম। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ কর্মশালায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ৪০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।
অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার বলেন, ‘সাংবাদিক সমাজের দর্পণ, সমাজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষায় তাদের ভূমিকা রয়েছে। তাই সবাই তথ্যমূলক বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করুন। হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধে কাজ করছি।’
পুলিশ সুপার আব্দুস ছালাম বলেন, ‘সমাজের অসংগতিগুলো আমাদের ধরিয়ে দিন। আমরা সেটার অবশ্যই সুরাহা করব। আপনাদের কাছে দাবি, ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করলে আমরা আপনাদের সহযোগিতা করব। বড় বড় মিডিয়া হাউসের কাছে আমার দাবি, যোগ্যতার বিচার করে প্রতিনিধি নিয়োগ দিলে হলুদ সাংবাদিকতা কমে যাবে।’
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বরগুনা জেলাকে সুন্দর করে সাজাতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করে সমাজের অসংগতিগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরুন।’