মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪ ১৫:৫৫ পিএম
আপডেট : ০৫ মে ২০২৪ ১৬:০৪ পিএম
সওজের জায়গায় প্রশস্ত দেয়াল নির্মাণ করেছেন দেলোয়ার হোসেন চুন্নু। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের জমি দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে দেলোয়ার হোসেন চুন্নু ওরফে চিশতী নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সওজের জায়গা তড়িঘড়ি করে দখলে নিতে তিনি অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলছেন বলে জানান স্থানীয়রা। এতে উপজেলার পশ্চিম নয়াকান্দি গ্রামের অন্তত ৪০ পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিকার চেয়ে পৌরসভার মেয়র, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে স্থানীয়দের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে দেখা যায়, করিমগঞ্জ পৌরসভার বেপারীপাড়া মোড় এলাকায় কিশোরগঞ্জ-চামড়া সড়ক ঘিরে সওজের জায়গায় প্রশস্ত দেয়াল (প্রাচীর) নির্মাণ করেছেন দেলোয়ার হোসেন চুন্নু। এর আগে দেলোয়ার হোসেন গ্রামের পানি নিষ্কাশনের দুটি কালভার্ট বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন বলেও অভিযোগ।
পশ্চিম নয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ৩০-৪০ বছরের মানুষের চলাচলের রাস্তা আটকে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন দেলোয়ার হোসেন চুন্নু। এতে গ্রামের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি সম্পত্তি দখলের পাশাপাশি গ্রামের মানুষের জমি কম দামে হাতিয়ে নিতেই দেয়াল নির্মাণ করে অবরুদ্ধ করার কৌশল নিয়েছেন দেলোয়ার হোসেন।
নয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, ‘দেলোয়ার হোসেন প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে রাস্তার জায়গা দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলছেন, যা পুরোপুরি অন্যায়। সড়ক বিভাগের কাছে অবৈধ স্থাপনা ও দেয়াল গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দেলোয়ার হোসেন চুন্নু বলেন, ‘সরকারি জমিতে দেয়াল তুললে গ্রামবাসীর তাতে কী? আমি দেয়াল তোলার কারণে সরকারের উপকার হয়েছে। সড়কের পাশের মাটি সরবে না। শুকনোর সময় কিছু মানুষ এই দিক দিয়ে চলাফেরা করলেও বর্ষায় সব মানুষ অন্যদিক দিয়ে চলাফেরা করে। আমি কারও রাস্তা দেব না।’
করিমগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মুসলেহ উদ্দিন বলেন, পশ্চিম নয়াকান্দির লোকজন বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। জনগণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়াল তোলা অন্যায়। পৌরসভার পক্ষ থেকে বিষয়টা যতটুকু দেখার অবশ্যই দেখব।
করিমগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা আলী বলেন, ‘সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’