বাগেরহাট ও মোরেলগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪ ১০:৩৯ এএম
আপডেট : ০৫ মে ২০২৪ ১০:৫৫ এএম
দ্বিতীয় দিনের মতো সুন্দরবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবকরা। প্রবা ফটো
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমোরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির লতিফের ছিলা এলাকায় লাগা আগুন দ্বিতীয় দিনের মতো জ্বলছে। এরই মধ্যে অন্তত ২ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
বনাঞ্চলের ঝুঁকি বিবেচনায় রাতে অগ্নিনির্বাপণ কাজ স্থগিত থাকলেও রবিবার (৫ মে) সকাল থেকে আবারও কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবকরা। তাদের সহযোগিতায় যোগ দিয়েছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর দুটি পৃথক দল।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ। কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ‘আগুন নির্বাপণে সকাল থেকে সকলে সম্মিলিতভাবে আবারও কাজ শুরু করেছেন। অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে এসিএফ চাঁদপাইকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। স্টেশন কর্মকর্তা ধানসাগর ও স্টেশন কর্মকর্তা জিউধারাকে নিয়ে গঠিত ৩ সদস্যের ওই কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আগুন নির্বাপণের কাজ শেষ হলে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করবে।’
আগুন নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন স্টেশনের অর্ধশত কর্মী কাজ শুরু করেছেন। ঘটনাস্থলে এসেছেন ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় কর্মকর্তারাও।
খুলনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মামুন মাহমুদ জানান, শনিবার বিকালে আগুনের খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও নানা প্রতিকূলতার কারণে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি। ঘটনাস্থল চিহ্নিত করা হয়েছে। আজ সকাল থেকে ২টি ইউনিট যুক্ত হয়ে মোট ৫টি ইউনিট কাজ শুরু করেছে।
এর আগে শনিবার বেলা ৩টার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির ড্রেনের ছিলা এলাকায় এ আগুনের সূত্রপাত হয়। এরই মধ্যে আগুনে কয়েক কিলোমিটার বনাঞ্চল পুড়ে গেছে।