সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪ ০০:১৩ এএম
আপডেট : ০৫ মে ২০২৪ ০০:১৬ এএম
সোনাগাজীতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
ফেনীর সোনাগাজীতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে আসামি ও তার পরিবারের সদস্যদের হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের মধ্যম চরচান্দিয়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মো. ইয়াহিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, সোনাগাজী মডেল থানার এসআই মাহবুব আলম সরকার, এএসআই আবুল খায়ের ও কনস্টেবল মোহাম্মদ আলী। তারা সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। গ্রেপ্তাররা হলেন, কুয়েত প্রবাসী মো. ইয়াহিয়া ও তার ছেলে মো. আবদুল আজিজ।
তবে এ ঘটনায় পুলিশ ও প্রবাসী পরিবারের পক্ষ থেকে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, চার মামলার পলাতক আসামি কুয়েত প্রবাসী মো. ইয়াহিয়াকে ধরতে গেলে আসামিসহ ও তার তিন ছেলে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তিন পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে। অপরদিকে প্রবাসী মো. ইয়াহিয়ার পরিবারের দাবি, জামিনে থাকার পরও পুলিশ সদস্যরা জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে ইয়াহিয়া, তার তিন পুত্রসহ স্বজনদের মারধর করে আহত করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, কুয়েত প্রবাসী ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে তার ভাইদের করা চারটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ফেনীর আদালত। সম্প্রতি দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে ইয়াহিয়া তিনটি মামলায় জামিন নেন। আদালত থেকে জামিন নিলেও ইয়াহিয়া থানায় জামিনের আদেশের কপি জমা দেননি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মাহবুব আলম সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ তার বাড়িতে গেলে তাদের ঘরে ঢুকতে বাধা দিলে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ইয়াহিয়া ও তার ছেলে আবদুল আজিজকে গ্রেপ্তার করে থানায় যায়।
আহত সোনাগাজী থানার এসআই মাহবুব আলম সরকার জানান, আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় আসামির ঘরে ঢুকতে গেলে তারা পুলিশকে বাধা দেয় এবং পুলিশের ওপর হামলা করেন। এ সময় তাদের হামলায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।