হত্যার রহস্য উদঘাটন
যশোর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪ ২২:৪২ পিএম
আপডেট : ০৪ মে ২০২৪ ২৩:০০ পিএম
দুই লাখ টাকার চুক্তিতে ভাড়াটে খুনি দিয়ে মেসকাদ আলীকে খুন করান নাজমা বেগম ও তার বাবা নিজাম সরদার। গত বৃহস্পতিবার সকালে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা জোঁকা ঈদগাহসংলগ্ন ধানক্ষেত থেকে মেসকাদ আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা অঞ্চলে অভিযান চলিয়ে ভাড়াটিয়া খুনি রিক্তা পারভীন ও নিজাম সরদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শনিবার ( ৪ মে) দুপুরে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের
কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ রূপন
কুমার সরকার।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার রিক্তা পারভীন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের চুন্নু গাজীর মেয়ে ও একই
এলাকার রাজুর স্ত্রী। হত্যাকাণ্ডে তাকে সহযোগিতা করেন মেসকাদ পরকীয়া
প্রেমিক সৌদি প্রবাসী নাজমার বাবা নিজাম সরদার। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার
নৈকাটি গ্রামের মৃত কাজেম সরদারের ছেলে। তাদের কাছ থেকে, দুটি মোবাইল সেট, স্বর্ণালংকার,
হত্যার মিশন ও লাশ গুমের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
রূপন কুমার সরকার আরও জানান, খুন হওয়া মেসকাদ ও নাজমা খাতুন
একসময়ে যশোরের পদ্মবিলার ইলা অটো রাইস মিলের শ্রমিক ছিল। এক বছর আগে নাজমা সৌদি
আরবে চলে যায়। সেখান থেকে সে মেসকাদের কাছে টাকাপয়সা পাঠায়। একপর্যায়ে টাকাপয়সা
আত্মসাৎ করে নাজমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন মেসকাদ।
এতে ক্রোধে নাজমা মেসকাদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে দুই লাখ
টাকার বিনিময়ে রিক্তাকে ভাড়া করেন নাজমা বেগম। রিক্তার পরকীয়া প্রেমিক যশোরের
শংকরপুরের শাহীন ড্রাইভারের মাধ্যমে মেসকাদকে সাতক্ষীরার আশাশুনি থেকে নিয়ে আসেন।
পথিমধ্যে মেসকাদকে চেতনানাশক খাইয়ে অচেতন করেন। পরে তার গলায় ও বুকে ছুরিকাঘাতে হত্যার
পর যশোরের মনিরামপুরের ঝাঁপা জোঁকা
ঈদগাহসংলগ্ন ধানক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
গত বৃহস্পতিবার সকালে ঈদগাহসংলগ্ন ওই ধানক্ষেতে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশটি মেসকাদ আলীর বলে পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই এরশাদ আলম বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে মনিরামপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তারদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান রূপন কুমার সরকার।