উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪ ২১:৪৯ পিএম
আপডেট : ০৪ মে ২০২৪ ২২:২২ পিএম
সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আশিক আহম্মেদ ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম। ফাইল ফটো
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সজলকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দুই প্রার্থী। একই সঙ্গে তারা বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজলকে (আনারস প্রতীক) সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
শনিবার (৪ মে) সকালে সারিয়াকান্দি প্রেস ক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তারা।
সরে দাঁড়ানো প্রার্থীরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আশিক আহম্মেদ (হেলিকপ্টটার প্রতীক) ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম (মোটরসাইকেল প্রতীক)।
দুই প্রার্থী সরে দাঁড়ানোয় এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে এখন ভোটের মাঠে আছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম মন্টু, সাবেক চেয়ারম্যান শাজাহান আলী এবং প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নন ও বর্তমান সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজল।
দুই প্রার্থীর সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজলকে চেয়ারম্যান বানানোর প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম মন্টু। তিনি বলেন, ‘এমপিপুত্র সজলকে চেয়ারম্যান করার সুবিধার্থে আশিক এবং সালাম সরে দাঁড়িয়েছে।’
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে আব্দুস সালাম বলেন, ‘১৯৯৫ সালে আব্দুল মান্নান আমাকে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছেন। তার ছেলের সঙ্গে আমার ভোট করা মানায় না। এজন্য নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।’
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিক আহম্মেদ বলেন, ‘প্রয়াত আব্দুল মান্নান ও বর্তমান সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান আমাকে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছেন। তাদের ছেলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী। যেহেতু ভাতিজা চেয়ারম্যান প্রার্থী, তাই আমার নির্বাচন করা ঠিক হবে না।’
এর আগে এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না করার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বারবার সতর্ক করা হয়। তবে বিষয়টি আমলে নেননি সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান এবং তার ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজল।