টাঙ্গাইল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪ ১৯:৫২ পিএম
কুকুরের কামড়ে আহত শিশু। পেওবা ফটো
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়েছে। শনিবার (৪ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার মাটিকাটা, চিতুলিয়াপাড়া, গোবিন্দাসী ও নিকলা নয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চিকিৎসা নিতে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে কুকুরে কামড়ানো ভ্যাকসিন না পেয়ে বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে ভুক্তোভোগীদের। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।
আহতরা হলেন- উপজেলার কাগমারী পাড়ার মিজানুর রহমানের শিশু ছেলে তৌফিক, গোলাবাড়ী গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আলিফা, নিকলা নয়াপাড়ার আজহারের ছেলে আম্বিয়া, নূরুল ইসলামের ছেলে জামাল হোসেন, গোবিন্দাসী গ্রামের রফিকের শিশু ছেলে শামিউল, মহিউদ্দিনের ছেলে সুজন মন্ডল, চিতুলিয়াপাড়ার গ্রামের মোখলেছ মিয়ার শিশু মেয়ে মনিজা খাতুন, নাজমুল হুদার শিশু ছেলে সাফওয়াল ইসলাম, শাহজাহানের স্ত্রী হোসনে আরা, ভালকুটিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের শিশু ছেলে বায়েজিদ ইসলাম। অন্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল, নিকরাইল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন।
কুকুরের আক্রমণের শিকার সুজন মন্ডল জানান, ‘সকালে বাড়ির পাশে আমার ছাগলকে আক্রমণ করে অনবরত কামড়াতে থাকে একটি কুকুর। এসময় আমি এগিয়ে গেলে কুকুরটি লাফ দিয়ে এসে আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং কামড়াতে থাকে। কুকুরটি মানুষ ও পশু দেখলেই আক্রমণ করছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘হাসপাতালে কিছুদিন আগেও কুকুড়ে কামড়ানো ভ্যাকসিন সরবারহ ছিল। ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যাওয়ায় রোগীদের ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়নি। আশা করছি দ্রুত ভ্যাকসিন সরবাহ করতে পারব।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিন্তে আখতার বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লোকজনের ওপর আক্রমণ করা ওই পাগলা কুকুরটিকে দ্রুত ধরার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে শুনেছি গোবিন্দাসী খেয়াঘাট এলাকায় স্থানীয়রা কুকুরটি মেরে ফেলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে ভ্যাকসিন সরবাহ না থাকার বিষয়টির ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।’