× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে

বান্দরবান প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪ ১৬:৫৭ পিএম

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই বান্দরবানের লামায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে নয় শতাধিক বসতঘর। প্রবা ফটো

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই বান্দরবানের লামায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে নয় শতাধিক বসতঘর। প্রবা ফটো

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই বান্দরবানের লামায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে নয় শতাধিক বসতঘর। ভেঙে ও উপড়ে গেছে ২০টির বেশি বিদ্যুতের খুঁটি। এ ছাড়া ফসলি জমি ও ফলের বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক কৃষকের। বিধ্বস্ত বসতঘরের অধিকাংশ বাসিন্দাই বসবাস করছেন খোলা ছাদের নিচে। গত বুধবার বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ৫ কোটি টাকারও বেশি সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। 

গতকাল শুক্রবার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বুধবার মধ্যরাতে হঠাৎ লামা উপজেলার পৌরসভাসহ ৫টি ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। ঝড়ের আঘাতে বিধ্বস্ত হয় নয় শতাধিক বসতঘর, কোথাও উপড়ে পড়েছে অথবা ভেঙে গেছে প্রায় ২০টির বেশি বিদ্যুতের খুঁটি। এ ছাড়া অনেক কৃষকের ফসলি জমি ও ফলের বাগানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ের তীব্রতায় কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় গত দুই দিনেও আলিকদম উপজেলায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন স্বাভাবিক করা যায়নি। তবে লামা শহরে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগব্যবস্থা সচল হলেও ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকাংশই বসবাস করছেন খোলা ছাদের নিচে। 

লামা বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ সিদ্দিক জানান, ১ মে মধ্যরাতের ঘূর্ণিঝড়ে ১১ কেভি সঞ্চালনের ১৭টি খুঁটি ও ৩৩ কেভি সঞ্চালনের ১টি খুঁটি ভেঙে যাওয়াতে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। গতকাল মেইন লাইন চালু করে লামা হাসপাতাল ও শহর এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাইনঝিরি হতে ছাগলখাইয়া, লামা আলিকদম সঞ্চালনের ১১ কেভি লাইনটি। প্রায় দেড় কিলোমিটার বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়াতে আলিকদম সংযোগ স্থাপন করা যায়নি। সংযোগ স্বাভাবিক করতে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একসঙ্গে কাজ করছেন। আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে লামা ও আলিকদমের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। 

লামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মনিরুল ইসলাম জানান গজালিয়া ইউনিয়ন ও সরই ইউনিয়ন ব্যতীত লামা পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়নে আটশ ১৫টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তাঘাটে ভেঙে পড়া গাছ পৌর মেয়রের নেতৃত্বে রেডক্রিসেন্টের সদস্য ও স্থানীয়দের নিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে। আজ (শুক্রবার) জেলা প্রশাসন থেকে দশ টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৫ কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

লামা পৌর মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম (আবছার) জানান, গত বুধবার রাতের ঘূর্ণিঝড়ে শুধু পৌর এলাকায় ১২০টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও ৩০০টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পৌর এলাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিক চাউল ও আর্থিক বরাদ্দসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দ সমন্বয় করে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। 

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কামরুল হোসেন চৌধুরী জানান, লামা পৌরসভা, সাতটি ইউনিয়নে গত বুধবার রাতের ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় সাতশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

সর্বমোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ একটু সময়সাপেক্ষ জানিয়ে তিনি বলেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসক হতে প্রাপ্ত ত্রাণ উপজেলার সাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রকে সঙ্গে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ বিতরণের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা