× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি

রংপুরে ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি

রংপুর অফিস

প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৪ ২২:৪৯ পিএম

আপডেট : ০৩ মে ২০২৪ ২৩:০৮ পিএম

রংপুরে ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচিতে ৯ কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। শুক্রবার (৩ মে) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পাঁচ কর্মকর্তা দিনব্যাপী তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে হিসাবের নথিতে ব্যাপক গরমিল পেয়েছেন।

জানা যায়, ২০১০ সালে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি চালু করে সরকার। এর আওতায় বেকার যুবকদের তিন মাসের প্রশিক্ষণের পর সরকারি প্রতিষ্ঠানে দুই বছরের জন্য অস্থায়ী চাকরি দেওয়া হয়। এর আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ন্যাশনাল সার্ভিসের চতুর্থ পর্বে গঙ্গাচড়া উপজেলাকে যুক্ত করা হয়। তৎকালীন এ কর্মসূচির দায়িত্বে থাকা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা খন্দকার এনামুল কবির ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।

সূত্র বলছে, দুই বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে গঙ্গাচড়া উপজেলায় উপকারভোগী ছিলেন ৩ হাজার ৪৭ জন। জনপ্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা করে ২৪ মাসে মোট ভাতার পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে এ খাতে ব্যয় হওয়ার কথা ছিল ৪৩ কোটি ৮৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। কিন্তু উপজেলায় ভাতা বাবদ উত্তোলন হয় ৬৬ কোটি ১ লাখ ৮১ হাজার ৬০০ টাকা। ২২ কোটি ১৪ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ টাকা অতিরিক্ত উত্তোলন করা হয়। দুটি চালানের মাধ্যমে গঙ্গাচড়া উপজেলা থেকে আত্মসাৎ করা হয় ১৩ কোটি টাকা, যা পরে সরকারকে ফেরত দেওয়া হয়। তবে অফিসের হিসাব অনুযায়ী এখনও ৯ কোটির বেশি টাকা গরমিলের তথ্য পাওয়া গেছে।

চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ সিরাজুর রহমান ভূঞার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রাণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদারকে আহ্বায়ক ও যুগ্ম সচিব লিয়াকত আলীকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিঠি গঠন করা হয়। 

কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার গঙ্গাচড়া যুব উন্নয়ন কার্যালয় পরিদর্শন করেন এবং তারা নথিতে ব্যাপক গরমিল দেখতে পান। গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, তদন্ত কমিটি নথিতে ব্যাপক গরমিল পেয়েছে। প্রায় ৯ কোটি টাকার হিসাব মিলেনি। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা