পাবনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৪ ২১:২৭ পিএম
আপডেট : ০২ মে ২০২৪ ২১:৫৬ পিএম
আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রবা ফটো
পাবনার সুজানগর উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশ হামলার শিকার হয়। পরে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এসব ঘটনায় দুজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ তিনজনকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যার দিকে সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের কালিরমোড় এলাকায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাবের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ বাঁধে।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহতদের মধ্যে ভায়না ইউনিয়নের ভায়না এলাকার রশিদ প্রামাণিকের ছেলে বাদশা প্রামাণিক, শেকেল শেখের ছেলে মতিন শেখ ও মৃত আজগর আলীর ছেলে আব্দুল আওয়ালের নাম জানা গেছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
তাৎক্ষণিক অপর আহত ও ঘটনাস্থল থেকে আটকদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যার দিকে ভায়নার কালিরমোড় এলাকায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিনের সমর্থকরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাবের সমর্থক শাহিনের এক সমর্থকের পায়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল তুলে দেন। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের সঙ্গে এই সমর্থকদের সংঘর্ষ বাঁধে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাবকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তা ধরেননি তিনি।
তবে তার অনুসারী ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমার বাড়িতে শাহিনুজ্জামানের লোকজন হামলা করেছে, ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ এসে তাদের প্রতিরোধ করে। এখন তাদের লোকজন কীভাবে আহত হয়েছে, পুলিশই ভালো বলতে পারবে।’
তবে এ ঘটনার জন্য আমিন চেয়ারম্যানকে দায়ী করে শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘ভোট নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে একজন প্রার্থী আমিন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আব্দুল মজিদ নামের আমার এক সমর্থককে মারধর করে। এটা নিয়েই উত্তেজনা। পরে আমিন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আমার লোকজনের ওপর গুলি চালানো হয়। এতে আমার কয়েকজন সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে সুজানগর থানার ওসি জালাল উদ্দিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমিন চেয়ারম্যানের বাড়ির ওপর হামলার খবর পেয়ে সেখানে গেলে শাহিনের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগানে ফায়ার করলে একজনের পায়ে লাগে। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।’