× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পানির অভাব

জীবন কি থেমে যাবে বরেন্দ্র জনপদে

শাহিনুর সুজন, চারঘাট (রাজশাহী)

প্রকাশ : ০১ মে ২০২৪ ০৯:২৮ এএম

আপডেট : ০১ মে ২০২৪ ০৯:৩৫ এএম

পদ্মা নদীর পানি সংরক্ষণ করে কৃষকদের কাছে পৌঁছাতে চারঘাটের ইউসুফপুর থেকে পুঠিয়ার ভালুকগাছি পর্যন্ত খাল খনন করা হয়। কিন্তু নদী সংলগ্ন খালের উৎসমুখেই নেই পানি। প্রবা ফটো

পদ্মা নদীর পানি সংরক্ষণ করে কৃষকদের কাছে পৌঁছাতে চারঘাটের ইউসুফপুর থেকে পুঠিয়ার ভালুকগাছি পর্যন্ত খাল খনন করা হয়। কিন্তু নদী সংলগ্ন খালের উৎসমুখেই নেই পানি। প্রবা ফটো

রাজশাহীর তানোর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় মাদ্রাসা সুপার আব্দুস সালাম। একজন আদর্শ কৃষক হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তার। তিনি ২০ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের আবাদ করতেন। গত বছর করেছিলেন ১২ বিঘা জমিতে, এ বছর করেছেন মাত্র ৭ বিঘায়। পানির সংকটে প্রতি বছরই আবাদের পরিমাণ কমছে তার। 

তিনি বলেন, ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে কৃষিকাজ করছি। কিন্তু এমন দুর্যোগ দেখিনি। এখন হাতের নাগালে সার, বীজ, চাষযন্ত্রসহ সব সুবিধা আছে, শুধু পানি নেই। গত বছর প্রতি ঘণ্টা পানি ১২৫ টাকা দরে কিনেও ঠিকমতো না পাওয়ায় ধান চাষে লোকসান হয়েছে। এ বছর প্রতি ঘণ্টা পানির দাম বেড়ে হয়েছে ১৪৫ টাকা। দাম বাড়লেও পানি পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। এজন্য বেশি জমিতে ধানের আবাদ করে রিস্ক নিতে চাইনি।

গোদাগাড়ী উপজেলার নিমঘুটু গ্রামের আদিবাসী কৃষক দুর্জয় ওরাও ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। তিনি বলেন, আগে গভীর নলকূপের ১ ঘণ্টার পানিতে যে কাজ হতো এখন তাতে ২ ঘণ্টা সময় লাগে। প্রতিটা মুহূর্ত টেনশনে থাকতে হয় পানি মিলবে কি না সেই চিন্তায়। কারণ ধান করতে জমানো সকল পুঁজি খরচ হয়ে যায়। 

একই গ্রামের দুই সাঁওতাল কৃষক অভিনাথ মার্ডি ও তার চাচাতো ভাই রবি মার্ডি সেচের পানি না পেয়ে গত বছর বিশ্ব পানি দিবসের আগের দিন ২১ মার্চ কীটনাশক পান করেন। ২৩ মার্চ অভিনাথ মার্ডি নিজ বাড়িতে এবং রবি মার্ডি ২৫ মার্চ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর গত ৯ এপ্রিল একই এলাকায় পানি না পেয়ে গভীর নলকূপের সামনে দাঁড়িয়ে মুকুল সরেন নামে এক কৃষক কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। 

বরেন্দ্র অঞ্চলে কয়েক দশক ধরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে পানির স্তর দ্রুত নামতে থাকায় খাবার ও সেচের পানির মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। এ অঞ্চলের ৪০ শতাংশেরও বেশি ইউনিয়নে পানিশূন্যতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশনের (এসডিসি) যৌথ অর্থায়নে বরেন্দ্রর রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলায় চালানো পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার (ওয়ারপো) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। এই অঞ্চলের মোট ২১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮৭টি ইউনিয়নকে ‘অতি উচ্চ’ ও ‘উচ্চ পানি সংকটাপন্ন এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা যায়, ১৯৮৫ ও ১৯৯০ সালে এ অঞ্চলে গড় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ছিল ৮ মিটার। ২০১০ সালে ভূগর্ভস্থ পানির গড় স্তর ১৫ মিটার ছাড়িয়ে যায়। ২০২১ সালের মধ্যে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর গড়ে ১৮ মিটারে বৃদ্ধি পায় এবং কিছু কিছু এলাকায় সর্বোচ্চ ৪৬.৮৭ মিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়। গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, চলমান জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব ও নির্বিচার ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের কারণেই এমন সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

রাজশাহী পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার (ওয়ারপো) নির্বাহী প্রকৌশলী নিলয় কুমার দাস বলেন, দেশে পানি নিয়ে নানা সংকট রয়েছে। অনেক এলাকায় দূষিত কিংবা লবণাক্ত পানি হলেও সরবরাহ রয়েছে। কিন্তু বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি দুষ্পাপ্য হয়ে গেছে। কারণ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বরেন্দ্র এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানি বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। যে পরিমাণ পানি ব্যবহার করা হয়েছে সে পরিমাণ পানি ভূগর্ভে রিচার্জ হয়নি। এ অঞ্চলে কৃষিকাজ যে পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে সে পরিমাণ পানি ধরে রাখার মতো সামর্থ্য এখনাকার মাটির স্তরের নেই। এ ছাড়াও এ অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণও কমে গেছে। সব মিলিয়ে এখানকার পানির স্তর প্রতিনিয়ত নিচে নেমে যাচ্ছে। এজন্য ভূগর্ভস্থ পানি বাদ দিয়ে ভূপৃষ্ঠের পানি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও ওয়ারপোর অনুমোদন ছাড়াই গভীর নলকূপ স্থাপন চলমান আছে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের অধীনে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) ১৯৯২ সালে গভীর নলকূপের মাধ্যমে সেচব্যবস্থা চালু করলে শুষ্ক এ অঞ্চলে বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়। ভূগর্ভস্থ এ সেচব্যবস্থার ফলে পানির স্তর নিচে নামা শুরু হলে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ২০১২ সালে গভীর নলকূপ স্থাপন বন্ধ করে দেয়। এরপর বরেন্দ্র সেচ কমিটির অনুমোদন নিয়ে সচ্ছল কৃষক, মৎস্য চাষি ও পানি ব্যবসায়ী অনেকেই এই অঞ্চলে নিজ উদ্যোগে গভীর নলকূপ স্থাপন করতে শুরু করেন। এতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর। সেচের পাশাপাশি খাবার পানিরও সংকট দেখা দেয়। ভূগর্ভস্থ পানির বিকল্প না খুঁজে খাবার পানির সংকট মেটাতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরও অগভীর নলকূপ (সাবমারসিবল পাম্প) স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করে। এতে সংকট সমাধান না হয়ে উল্টো বরেন্দ্র অঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। 

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) তথ্যমতে, রাজশাহী বিভাগে প্রায় ৮ হাজার ৫০০টি সরকারি গভীর নলকূপ এবং ৩৫ হাজারের বেশি বেসরকারি গভীর নলকূপ রয়েছে। সেচকাজে ব্যবহৃত পানির ৫২ শতাংশ বিএমডিএ ও ৪৮ শতাংশ বেসরকারি ব্যক্তি পর্যায়ের নলকূপ থেকে সরবরাহ হয়ে থাকে। বর্তমানে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে ১৪ শতাংশ পানি ভূপৃষ্ঠ (নদী, খাল ও রাবার ড্যাম) থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং নতুন করে ব্যক্তি পর্যায়েও কোনো গভীর নলকূপ স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না বলে বিএমডিএর ভাষ্য।

ওয়ারপোর জরিপে উদ্বেগজনক তথ্য এবং বিদ্যমান সেচ আইনে বিএমডিএর অধিক্ষেত্রে ব্যক্তি মালিকানার গভীর নলকূপ স্থাপন পুরোপুরি বেআইনি হলেও জেলার তানোর উপজেলা সেচ কমিটি ব্যক্তিগত মালিকানায় আরও ৩০টি গভীর নলকূপ স্থাপনের লাইসেন্সের সুপারিশ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইউএনও পদাধিকার বলে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সহকারী প্রকৌশলী সেচ কমিটির সদস্য সচিব। বিএমডিএ ১৪ শতাংশ ভূপৃষ্ঠের পানি ব্যবহার করার কথা বললেও চারঘাটের ইউসুফপুরে বিএমডির পদ্মা নদী থেকে খালে পানি সরবরাহ প্রকল্প পানিশূন্য অবস্থায় পড়ে আছে। 

এদিকে রাজশাহী জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট মোকাবিলায় তারা রাজশাহী জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বছরে কমপক্ষে ২৬টি সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন করছেন। গত তিন বছরে রাজশাহীর ৭২টি ইউনিয়নে প্রায় ৬ হাজার অগভীর নলকূপ (সাবমারসিবল) স্থাপন করেছে তারা।

পানি সংকট সমাধানের নামে জনস্বাস্থ্যের এ প্রকল্পের মাধ্যমে অপরিকল্পিতভাবে সাবমারসিবল পাম্প স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়াও যেখানে ভূগর্ভের পানি কম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা, সেখানে ভূপৃষ্ঠসংশ্লিষ্ট প্রকল্প না নিয়ে ভূগর্ভে সাবমারসিবল পাম্প স্থাপনে ক্ষোভ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

চারঘাট উপজেলার অনুপামপুর গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, বছরের অধিকাংশ সময় আমরা সেচ ও খাবার পানির সংকটে থাকি। এখনকার বিএমডির গভীর নলকূপের পানি ফসলের ক্ষেত বাদ দিয়ে বেশি টাকার বিনিময়ে মাছ চাষের পুকুরে সরবরাহ করা হয়। জনস্বাস্থ্যের সাবমারসিবলগুলো রাজনৈতিক নেতারা তাদের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বসিয়েছেন। আর কৃষক ও সাধারণ গরিব মানুষ পানির জন্য হাহাকার করছে। কিন্তু প্রকল্পগুলো থেকে সচ্ছল ও স্বাবলম্বীরা লাভবান হচ্ছে।

তানোর উপজেলার গাগরন্দ গ্রামের বিএমডির গভীর নলকূপ অপারেটর শামীম রেজা বলেন, কয়েক বছর আগেও আমার নলকূপের আওতায় ১২০ বিঘা পর্যন্ত ধানের আবাদ হতো। এ মৌসুমে হয়েছে মাত্র ২২ বিঘা। এর মধ্যেও মাঠে নতুন নতুন গভীর নলকূপ স্থাপন করা হচ্ছে। এলাকার কোনো সাধারণ নলকূপে পানি ওঠে না। আমার নলকূপ থেকে ৩০০ পরিবারের কাছে পানি বিক্রি করা হয়। প্রতি বছরই অবস্থা আরও বেশি খারাপ হচ্ছে। 

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের রাজশাহী সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. বাদশাহ মিয়া বলেন, জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছে। সেজন্য কিছু জায়গায় তাদের অনুরোধে দুয়েকটা সাবমারসিবল পাম্প স্থাপনে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটতে পারে। এ অঞ্চলে পানির স্তর প্রতিনিয়ত নেমে যাওয়ার পরও ভূগর্ভস্থ সাবমারসিবল পাম্প স্থাপনের প্রকল্প নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রকল্পগুলো মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করি। প্রকল্প গ্রহণের এখতিয়ার আমাদের নেই। তবে এ অঞ্চলের পানির স্তরের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। 

খাল খনন প্রকল্পে দায়সারা কাজ

ভূগর্ভের পানির ব্যবহার কমিয়ে উপরিভাগের পানি দিয়ে চাষাবাদের জন্য নদী ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহীর চার উপজেলায় খাল খনন করেছে বিএমডিএ।

দরপত্রে শাহাপুর-কাটাখালী-হরিয়ান বিলে ৩ থেকে ৯ ফুট গভীর করে খাল খননের কথা বলা হলেও কোথাও দুই ফুট, আবার কোথাও কোনো খননই করা হয়নি। উল্টো ময়লা-আবর্জনায় খাল ভরাট হয়ে গেছে। খালপাড়ের মোল্লাপাড়া এলাকার ইমদাদুল ইসলাম বলেন, পানিপ্রবাহ সচল রাখতে খালটি খনন করা হয়েছিল। কিন্তু পানি নামেও না কিংবা পদ্মা থেকে খালে আসেও না।

চারঘাটের মেরামতপুর-পিরোজপুর খালটি ২০ ফুট চওড়া করার কথা। কিছু জায়গায় ৩ থেকে ৬ ফুট চওড়া করা হয়েছে। স্থানীয় কৃষক জিয়াউর রহমান বলেন, খাল খননের পর মাটি ফেলা হয়েছে পাড়েই। আবার যে পরিমাণ গভীর করার কথা ছিল, সেটা হয়নি। বছর না যেতেই খাল ভরাট হয়ে গেছে।

ইউসুফপুর-পুঠিয়ার ভালুকগাছী খালে পদ্মা থেকে পানি সরবরাহের জন্য ১৩টি পাম্প স্থাপনের কথা। সেখানে ৭টি পাম্প পাওয়া গেছে। সচল আছে ৪টি। এ খালেও পানি নেই। এত অব্যবস্থাপনার পরও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও ভূপৃষ্ঠের পানির সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করার নামে বিএমডিএ তিনটি গুচ্ছে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে আরও ৬৭৭ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে। এর বাস্তবায়ন নিয়েও সন্দিহান কৃষকরা।

তবে খাল খননে অনিয়ম হয়নি দাবি করে বিএমডিএর রাজশাহী রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষকদের পানির চাহিদা সারা বছর থাকে না। এ জন্য সব সময় তা নজরে আসে না। কৃষকরা চাইলে খালগুলো পরিষ্কার করে সেচের ব্যবস্থা করা হবে।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রশীদ বলেন, ভূগর্ভের পানি বেশি ব্যবহারের ফলে পানির সংকট থাকলেও তাতে কৃষকদের ভয়ের কিছু নেই। কারণ সংকট নিরসনে আমরা কাজ করছি। আগে শতভাগ পানি ভূগর্ভ থেকে উত্তোলন করা হলেও এখন ১৪ ভাগ পানি ভূপৃষ্ঠের নদী, খাল ও পুকুর থেকে সংগ্রহ করছি। ভূপৃষ্ঠ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোতে পানি সরবরাহ না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, চারঘাটের ইউসুফপুরসহ কিছু জায়গায় কৃষকরা পানির চাহিদা না করায় সেখাকার পদ্মা নদীর খালে পানি নেই। তবে অধিকাংশ জায়গায় কার্যক্রম চালু আছে। তানোর উপজেলা সেচ কমিটি কেন কীভাবে গভীর নলকূপ স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে বিএমডিএ তা খতিয়ে দেখবে বলেও জানান তিনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের উঁচু কাদামাটির পৃষ্ঠের কারণে ভূপৃষ্ঠের পানি ভূগর্ভে পৌঁছতে পারছে না। আবার যে পরিমাণ ভূগর্ভস্থ পানি তোলা হচ্ছে তা আর রিচার্জ হচ্ছে না। এজন্য তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অধিক সেচ প্রয়োজন হয় এরকম ফসল চাষে পরিবর্তন আনতে হবে। নয়তো এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের পানির সংকট আরও বাড়বে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা