ঝিনাইদহ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:১৭ পিএম
প্রতীকী ফটো।
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক শ্রমিককে গাছে বেঁধে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গ্রাম্য সালিশে সমাজপতির আড়ালে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। নিহত শরিফুল ইসলাম বাটুল শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের তারাচাঁদ মণ্ডলের ছেলে। তিনি হোটেল শ্রমিকের কাজ করতেন।
ওই গ্রামের সর্দারপাড়ায় সোমবার সন্ধ্যার দিকে তাকে হত্যা করা হলেও মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। কেউ আটক বা গ্রেপ্তারও হয়নি।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শরিফুল ইসলাম বাটুলের সাথে একই গ্রামের তার মামাতো ভাই রহিম, লিটন ও রহমানের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। তারা এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারিদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে মাদকব্যবসা করেন। তারা বাটুলের সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা করে আসছিলেন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে মামাতো ভাইদের সাথে বাটুলের বাকবিতন্ডা হয়। বাটুলকে গ্রাম্য সালিশে লাঞ্ছিত করাসহ বাড়ির পাশে একটি গাছের সাথে বেঁধে সারা শরীরে বেধড়ক মারধর করা হয়। রাত ৯টার দিকে গুরুতর অবস্থায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে বাটুলের মৃত্যু হয়। র্যাব-পুলিশের হাতে একাধিকবার গ্রেফতার হওয়া ও কয়েকটি মাদক মামলার আসামি শেখপাড়া গ্রামের বকুল জোয়ার্দ্দারসহ প্রভাবশালীরা এ সালিশ-বৈঠকের আয়োজন করেন এবং মারপিটের সাথে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা।
বাটুলের মা আছিরন নেসা বলেন, ‘বকুল জোয়ার্দ্দার গ্রামের মাতব্বর। তার ডাকেই এই সালিশ ও মারপিটের ঘটনা ঘটে।’ এ ঘটনায় অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘শৈলকুপার শেখপাড়ায় বাটুল নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মাদক কারবারি ও শরিকদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ না আসায় মামলা দায়ের হয়নি বলে জানায় পুলিশ।