রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:২১ পিএম
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:২৯ পিএম
বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মানুষরা। প্রবা ফটো
এপ্রিলের শুরু থেকেই রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে দাবদাহ। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এ দাবদাহে মানুষের পাশাপাশি পশুপাখির স্বাভাবিক জীবনযাত্রাতেও দেখা দিয়েছে অস্বস্তি।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর তিনটায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত ১৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এবং রাজশাহীর ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
২০০৫ সালের ২ জুন রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৫.১ ডিগ্রি।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান, এ মৌসুমে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বাতাসের আর্দ্রতা ১৮ শতাংশ।
তীব্র দাবদাহের কারণে দিনমজুর থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। তীব্র গরমের কারণে খেটে খাওয়া মানুষ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বেশিরভাগ মানুষ একান্ত প্রয়োজন ছাড়া দুপুর ১২টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।
এদিকে শিশু ও বৃদ্ধরা নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২৫০ বেডের বিপরীতে রোগী ভর্তি আছে ২৮০০ এর বেশি। এদের অধিকাংশই জ্বর, সর্দি এবং ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত। শিশু ওয়ার্ডে বারান্দা পর্যন্ত রোগী ছড়িয়ে পড়েছে। একই চিত্র মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোতেও।
দাবদাহ থেকে বাঁচতে মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষরা ইসতিসকার নামাজ আদায় করছেন। এ ছাড়াও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্রষ্টার কাছে বৃষ্টি চেয়ে মিনতি করছেন।
তীব্র দাবদাহের কারণে রাজশাহীসহ আরও ৫টি জেলার পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে জেলার সব মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কলেজ বন্ধ রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় আগামী ২ মে খুলবে।