ফেনী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১১:২৭ এএম
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৪০ এএম
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভ। ছবি : সংগৃহীত
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের এক প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি (বহিষ্কার) দিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
একই ইউনিয়নের এক প্রবাসীর স্ত্রীর থেকে দেড় লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল এই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনবহির্ভূত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ২৩ এপ্রিল তাকে শোকজ করে কারণ দর্শানো নোটিস দিয়েছিল সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগ এবং তিন কর্মদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়। কারণ দর্শানোর নোটিসের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকায় আফাজ উদ্দিন সৌরভকে (সাধারণ সম্পাদক, চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ) তার পদ থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
একই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়ার জামান ফাহিমকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সাইমুন জানান, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এবং কারণ দর্শানো নোটিসের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া তার স্থলাভিষিক্ত করে আরেকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের চান্দলা গ্রামের সৌদিপ্রবাসীর ছেলে ফাহাদ হোসেনের সঙ্গে মতিগঞ্জ ইউনিয়নের এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি ছেলের মা মেয়েটির বাড়ি গিয়ে তার অভিভাবককে ফাহাদের সঙ্গে মেয়েটির যোগাযোগ বন্ধ করতে অনুরোধ করেন। এ সময় মেয়ের পরিবার ছেলের মাকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে সৌরভ মতিগঞ্জে গিয়ে ফাহাদের মাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। বিনিময়ে ফাহাদের মায়ের ব্যবহৃত স্বর্ণ স্থানীয় কুঠিরহাট বাজারের একটি সোনার দোকানে বন্ধক রেখে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
ফাহাদের মায়ের ভাষ্যমতে, সৌরভ বাড়িতে এসে তার স্বর্ণ নিয়ে তাকেসহ কুঠিরহাট বাজারে গিয়ে এক দোকানে বন্ধক রেখে দেড় লাখ টাকা নিয়ে যান। এরপর সৌরভ ২০ হাজার টাকা নেন। সম্প্রতি তিনি আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। নিরুপায় হয়ে বিষয়টি তিনি তার পরিবার এবং স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে জানান।