মারধর করে টেন্ডার ‘ছিনিয়ে’ নিলেন যুবলীগ নেতা

টেন্ডারে (দরপত্র) অংশ নিতে যাওয়া ঠিকাদারের প্রতিনিধিকে মারধর করে টেন্ডার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক উপজেলা যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। জানা গেছে, টেন্ডার আহ্বানে এই অভিযুক্তের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কোনো প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়েনি।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেনী সড়ক ও সেতু বিভাগ ভবনের গ্যারেজে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে মারধরের শিকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ওই প্রতিনিধি ফেনী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত সেন্টু মিয়া ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগের সদস্য। তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম ‘সেন্টু এন্টারপ্রাইজ’। আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজিজুল হক হিরনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।

একটি সূত্রে জানা গেছে, টেন্ডার আহ্বানে এই যুবলীগ নেতার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টু এন্টারপ্রাইজ’ ছাড়া আর কোনো প্রতিষ্ঠানের আবেদন পড়েনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোনাগাজী-নোয়াখালী সংযোগ সড়কের সাহেবের ঘাট ব্রিজের টোল আদায়ে ইজারাদার নিয়োগে টেন্ডার আহ্বান করে ফেনীর সড়ক ও সেতু বিভাগ। টেন্ডার জমাদানের সপ্তম ধাপের শেষ দিনে (সোমবার) টেন্ডার জমা দিতে আসেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘আমান ফারহান ট্রেডার্স’- এর প্রতিনিধি আলী আক্কাস। এসময় তাকে সেতু ভবনের নিচে গ্যারেজে ডেকে নিয়ে সেন্টু ও টিপুসহ অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে তাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে তার কাছে থাকা মোবাইল, মানিব্যাগ ও টেন্ডারের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ছিনিয়ে নেন তারা।

অভিযোগকারী আলী আক্কাস বলেন, ‘এসময় সেন্টুসহ অজ্ঞাত ২০ থেকে ৩০ জন উপস্থিত ছিল। এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।’

তবে মারধর ও টেন্ডার ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সেন্টু মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ। আজকে বাড়ি থেকে বের হইনাই। কেউ আমার বিরুদ্ধে হয়তো ষড়যন্ত্র করছে।’

এদিকে পুনরায় টেন্ডার আহ্বান করা হবে জানিয়ে ফেনী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বিনয় কুমার পাল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘টেন্ডার জমা দেওয়ার সময় বাধা দেওয়ার একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা দরপত্র পুনরায় আহ্বান করব।’

তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’