মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ৩টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সোমবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে; যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ।
জামিনুর রহমান বলেন, ‘এখন এ জেলায় অতি তাপদাহ চলছে। এই অবস্থা আগামী কয়েকদিন থাকতে পারে।’
এদিকে তীব্র তাপে চুয়াডাঙ্গা জেলার জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছে। দুদিন পর আবারও এ জেলায় তাপমাত্রার তীব্রতা বেড়ে গেছে। দুদিনে এ জেলায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়েছে। তীব্র রোদ আর রোদে আগুনের ফুলকির মতো তেজ যেন মরুভূমির তাপমাত্রা। অতি তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ ও প্রাণিকুল। তীব্র রোদের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর ও রিকশা-ভ্যান চালকদের কাজ কমেছে। এ রোদে যাত্রীরা ঘর থেকে বের হচ্ছে না। যার ফলে অনেকে কাজ না পেয়ে ধার-দেনা ও অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।
তীব্র তাপ থেকে বাঁচতে একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছেন স্বল্প আয়ের মানুষরা। তবে এ জেলায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োাজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। তবে রোদের এত উত্তাপ যে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। হিট স্ট্রোকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
এদিকে অতি তীব্র তাপদাহে সোমবার প্রাইমারি স্কুল খোলা থাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এ জেলার অভিভাবকরা। যেখানে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ চলতি তাপপ্রবাহে বাংলাদেশের শিশুদের অতি উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রেখেছে। সেখানে স্কুলগুলো চলমান তাপপ্রাহ পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য সরকারের অনুরোধ জানিয়েছে এ জেলার অভিভাবকরা।