দিনাজপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:২১ পিএম
ঘটনার দিন হামলার শিকার ড্রাইভার আব্দুল মোত্তালেবকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দিনাজপুরে আরিফ ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের গাড়ি, সাজ-সরঞ্জাম ভাঙচুর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেল এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, এ সংক্রান্ত ঘটনায় ২৬ এপ্রিল কাহারোল থানায় ফায়ার সার্ভিসের লিডার আব্দুল খালেক বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ এপ্রিল রাত রাত ৮ টা ১৯ মিনিটে দিনাজপুরের দশমাইল এলাকায় আরিফ ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে কাহারোল ফায়ার স্টেশনের দু'টি ইউনিট রওনা করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পাম্পের কর্মচারী ও অজ্ঞাত ৪০/৫০ জন লোহার অ্যাংগেল, লাঠি, ইট দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে। এ কাজে আসামিদের বাধা দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করা হয়। একপর্যায়ে ড্রাইভার আব্দুল মোত্তালেবের বাম কানের নিচে লোহার অ্যাংগেল দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর জখম হন। এ ঘটনায় ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. রেজাউল করিম ও ড্রাইভার আব্দুল মোত্তালেবকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রংপুর বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক কাজী নজমুজ্জামান বলেন, কাহারোল ফায়ার স্টেশনের মাত্র একটি পানিবাহী গাড়ি। এটি ভাঙচুর করায় কাহারোল এলাকায় অগ্নিনির্বাপণ সেবা ব্যাহত হবে। আমরা অতিদ্রুত অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি আরও জানান, একটি ফিলিং স্টেশনে অবশ্যই স্থায়ী অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা থাকতে হবে। কিন্তু আরিফ ফিলিং স্টেশনে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম না থাকায় আগুন বড় হয়ে যায়। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠানটির কোন ফায়ার লাইসেন্সও ছিল না। যা আইনত দণ্ডনীয়।