ময়মনসিংহ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০০:৫৮ এএম
কাজী নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়। ছবি : সংগৃহীত
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় রবিবার কাজী নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ে কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে দীর্ঘ ৪ ঘন্টা পর তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় প্রধান শিক্ষকের ছেলেকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মুক্তাগাছা উপজেলার দাওগাঁও ইউনিয়নের কাজী নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন নিয়ে দুটি গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। কমিটির মেয়াদ থাকা সত্বেও স্থানীয় বাসিন্দা আবু সাঈদকে সভাপতি করার জন্য তোড়জোড় শুরু করে একটি গ্রুপ। আর অন্য গ্রুপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্বা আজিজুল হক ইদুকে সভাপতি পদে বহাল রাখতে চায়। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায় আবু সাঈদের লোকজন। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষক মুক্তাগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ দাযের করেছেন।
বন্ধের পর রবিবার রোববার বিদ্যালয় খোলার দিন সকাল ১০টার দিকে প্রধান শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন বিদ্যালয়ে আসেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ প্রধান শিক্ষকের নামে নানা শ্লোগান দিয়ে প্রধান শিক্ষককে তার অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় তার ছেলে রেদোয়ান হক বাবাকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়।
প্রধান শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, কমিটির সভাপতি এলাকায় যে কেউ হতে পারেন। এখানে কোনো বাঁধা নেই। তবে নিয়মের বাইরে যাওযার কোনো সুযোগ ছিল না তার। এরপরও জোরকরে আবু সাঈদকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করার চাপ ছিল তার ওপর। তাদের অন্যায় দাবি মানা সম্ভব হয়নি বিধায় তার বিরুদ্ধে এলাকার লোকজনকে ক্ষেপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আবু সাঈদ বলেন, প্রধান শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম রয়েছে। প্রধান শিক্ষক পূর্বের সভাপতির সঙ্গে আঁতাত করে বিদ্যালয়ের অর্থ তছরুপ করেছে। এ কারণে এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে নেমেছে। তিনি প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেন।
তার অভিযোগ অস্বীকার করে বর্তমান সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্বা আজিজুল হক ইদু বলেন, অন্যায়ভাবে একটি গ্রুপ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লেগেছে। তারা কখনো বিদ্যালয়ের ভালো চায় না। তিনি বলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দের ওপর ভর করে তারা এ সব করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
মুক্তাগাছা থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ বলেন, এলাকার বিশাল জনতা প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এবং এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে ওসি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদৎ হোসেন বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, এর পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।