× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ময়লার ফেলার সহজ ‘ডাস্টবিন’ ছড়াখাল

সিলেট অফিস

প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:১১ পিএম

আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:১৩ পিএম

ময়লার ফেলার সহজ ‘ডাস্টবিন’ ছড়াখাল

সিলেট নগরীর উন্মুক্ত ছড়াগুলোতে (খাল) গৃহস্থালি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা আবর্জনার ছড়াছড়ি। দুর্গন্ধে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এ ছাড়া ময়লার স্তূপে অনেক স্থানে ছড়া ভরাট হয়ে আছে। এতে পানিপ্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে; বংশবিস্তার করছে মশা-মাছি। 

সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্র বলছে, সিটি কর্তৃপক্ষ সারা বছরই ছড়া-খালে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালায়। নগরীর ছড়া-খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযানও পরিচালিত হচ্ছে নিয়মিত। কিন্তু মানুষজন ছড়া-খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করার ব্যাপারে সচেতন হচ্ছে না। এ কারণে কদিন পরই ছড়া-খালে ময়লার স্তূপ তৈরি হচ্ছে। আর এতে নোংরা হচ্ছে পরিবেশ, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এলাকাজুড়ে। এ ছাড়া নগরীর প্রত্যেক এলাকায় ভ্রাম্যমাণ ডাস্টবিন রয়েছে। কিন্তু অনেকে মাত্র ৫০-১০০ টাকা বাঁচানোর আশায় ভ্রাম্যমাণ ডাস্টবিনে ময়লা না দিয়ে ছড়ায় ফেলেন। ছড়ার পারের বাসিন্দারাই এসব আবর্জনা সরাসরি ফেলছেন বলে অভিযোগ। 

স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টির সময় এসব ছড়া দ্রুত পানিতে ভর্তি হয়ে ময়লা আবর্জনায় রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরের আশপাশ নোংরা হয়ে যায়। কোনো কোনো জায়গায় ময়লা জমে মিনি ডাস্টবিনে পরিণত হয়। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এসব নালা-ছড়া পরিষ্কার করা হলেও তা যথেষ্ট নয়। তারা বলেন, একদিকে পরিষ্কার করা হয়, অন্যদিকে লোকজন ময়লা ফেলে। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এ থেকে পরিত্রাণের সুযোগ নেই। এর বাইরে ডাস্টবিন ও ময়লা বহনের ভ্যান চাহিদা অনুপাতে বাড়াতে হবে। তা ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পদক্ষেপ নিতে হবে।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর গোয়ালী ছড়া, মুগনী ছড়া ও রত্না ছড়ার অধিকাংশ এলাকাজুড়ে ময়লা-আবর্জনার ছড়াছড়ি। প্লাস্টিকের বোতল, ব্যাগ, গ্লাস ও থালা, কর্কশিট, কলাপাতা, গাছ, পশুহাটের উচ্ছিষ্ট খড়, বস্তা ও পলিথিন ব্যাগ, হোটেল-রেস্তোরাঁর ময়লা, গৃহস্থালির ময়লা- কী নেই সেখানে। ময়লা-আবর্জনার মধ্যে বৃষ্টির পানি জমে আছে। তাতে ওড়াওড়ি করছে মশা-মাছি। 

গোয়ালী ছড়া নগরীর রায়নগর, সোনারপাড়া, যতরপুর ও সোবহানিঘাট এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি আবর্জনাযুক্ত মুগনী ছড়া রিকাবীবাজার, মির্জা জাঙ্গাল হয়ে তালতলা-তেলিহাওর এলাকা দিয়ে কাজীর বাজারসংলগ্ন সুরমা নদীতে মিলেছে। আর রত্না ছড়া দক্ষিণ সুরমার খোজারখলা, কাজিরখলা, মোমিনখলা ও বারখলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। 

মুগনী ছড়ার এই অংশের পাশে রয়েছে সিলেট নগরের বৃহৎ পশুহাট কাজীর বাজার। এই এলাকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল, একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রেস্তোরাঁ, ভাঙারির দোকান, সুপারির দোকান, মুদির দোকান, ফার্মেসি ও কলার আড়ত। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এসব প্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনা নির্বিঘ্নে ছড়ায় ফেলা হচ্ছে। দিনের পর দিন ময়লা ফেলতে থাকায় এখন স্তূপ তৈরি হয়েছে। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রত্না খালের পার্শ্ববর্তী এক বাসিন্দা বলেন, পারের লোকজন সরাসরি ছড়ায় ময়লা ফেলে অভ্যস্ত। তারা কোনো বিধিনিষেধই মানছে না। তা ছাড়া আশপাশে ডাস্টবিন নেই, তাই দূরে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলার চেয়ে ছড়ায় ফেলা সহজ বলে অনেকে মনে করেন।

শিবগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ী তুহিন মিয়া বলেন, নগরীর বিভিন্ন অংশের ময়লা-আবর্জনা বৃষ্টির পানিতে ভেসে ছড়ার পানিতে মিশছে। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবেও কিছু ময়লা-আবর্জনা ছড়ায় ফেলা হচ্ছে। সামনে কোরবানির ঈদ। ওই সময়ে ময়লা-আবর্জনা আরও বেশি হবে। তখন অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাবে। 

জানতে চাইলে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ একলিম আবদীন বলেন, ‘প্রধান সমস্যা হচ্ছে সচেতনতার অভাব। এর ফলে লোকজন বিশেষ করে যারা ছড়ার পারে বসবাস করেন তারা আবর্জনা সরাসরি ছড়ায় ফেলে দেন। এ ছাড়া পুরো নগরীকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার সক্ষমতারও সীমাবদ্ধতা আছে। পুরো নগরী এখনও আমরা ডাস্টবিন এবং ময়লার ভ্যানের আওতায় আনতে পারিনি। তবে আশার কথা হলো নতুন করে আরও ১ হাজার ডাস্টবিন এবং ৫০০ ময়লা বহনের ভ্যানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মাসখানেকের মধ্যেই তা হয়ে যাবে।’ 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা