জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে কুজেন্দ্র ত্রিপুরা
খাগড়াছড়ি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ২২:০৬ পিএম
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ২২:১৭ পিএম
শনিবার খাগড়াছড়ির টাউন হল প্রাঙ্গণে জাতীয় এবং সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। প্রবা ফটো
স্থানীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বাড়াতে নিজের অনুসারী কিংবা বিশ্বস্ত লোকদের দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা বানাতে বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালান দায়িত্বশীল নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা। দেশের তৃণমূল পর্যায়ের রাজনীতিতে সব দলের এ যেন এক অলিখিত রেওয়াজ! বিভিন্ন সংগঠনের সম্মেলনের আগে তৎপরতা বৃদ্ধি পায় বড় নেতাদের। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষমতাসীন দলে প্রভাব বিস্তারের ঘটনা বেশি ঘটে।
তবে এমন রীতির পক্ষে নন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল
ত্রিপুরা এমপি। তিনি বলেছেন, ‘আমার লোক ছাত্রলীগে ঢোকাতে হবে, এটা আমি সমর্থন
করি না, বিশ্বাসও করি না। মেধাবী ও ত্যাগী কর্মীরা কমিটিতে আসবে, এটাই আমরা বিশ্বাস
করি।’
শনিবার (২৭ এপ্রিল) খাগড়াছড়ির টাউন হলে জেলা ছাত্রলীগের
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
এর আগে টাউন হল প্রাঙ্গণে জাতীয় এবং সাংগঠনিক
পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি
সাদ্দাম হোসেন। সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক
শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। প্রায় ৯ বছর পর খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
হয়েছে। তাই সম্মেলন নিয়ে ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের উৎসাহ ও উদ্দীপনার কমতি
ছিল না।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, ‘দেশের সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভূমিকা
অপরিসীম। পদপদবি বড় বিষয় নয়। পদবিতে না থেকেও দেশের উন্নয়ন সাধন ও ছাত্রলীগকে
সুসংগঠিত করার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।’ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ
হওয়ার আহ্বান জানান খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের এই সভাপতি।
তিনি আরও বলেন, ‘সমতল অঞ্চলে আছে হিন্দু
মুসলিম আর পাহাড়ে ১১ ভাষাভাষী মানুষ আছে। ত্রিপুরা, চাকমা, মারমা ও বাঙালিসহ সব
জাতিগোষ্ঠীর সম্প্রীতির মেলবন্ধনে বসবাস করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পার্বত্য শান্তিচুক্তি পাহাড়ের চিত্র বদলে দিয়েছে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুদৃঢ় হয়েছে। পাহাড়ের উন্নয়নও আজ দৃশ্যমান। এই
সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা আমাদের ধরে রাখতে হবে।’
জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক উবিক মোহন ত্রিপুরার সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম প্রমুখ।