শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১২:২৮ পিএম
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৪৭ পিএম
শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রবা ফটো
গাজীপুরের শ্রীপুরে বহুতল ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক খানের বহুতল ভবনের নিচতলার এক কক্ষের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. ইসরাফিল শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হলদি গ্রামের মো. মফিজুল হকের ছেলে আর মোছা. রোকেয়া খাতুন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পস্তারি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।
রোকেয়ার ভাই আবু রায়হান জানান, প্রায় আট মাস আগে ইসরাফিল ও রোকেয়া একে অন্যকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। তারা উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের ফারুক হোসেনের বাড়ি ভাড়া থেকে স্থানীয় বিভিন্ন পোশাক কারখানায় সাব কন্টাক্ট অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। মাস তিনেক আগে ইসরাফিল বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গিয়ে মুলাইদে স্ত্রীকে নিয়ে বাসা ভাড়া করে বসবাস শুরু করেন। বৃহস্পতিবার তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়েছিল। আজ সকালে তাদের মৃত্যুর খবর পান।
কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আজমীর হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে একই ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ধারণা পারিবারিক কলহের কারণে প্রথমে স্ত্রী আত্মহত্যা করেন। স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে চিরকুট লিখে স্বামী নিজেও আত্মহত্যা করতে পারেন। টেবিলের ওপর থেকে চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
চিরকুটে যা লেখা ছিল—
‘মা-বাবা আমাকে মাফ করে দিও। আমি তোমাদের সাথে থাকতে পারলাম না। আমার জান আমার জন্য ফাঁসিতে ঝুলছে। তাই আমি থাকতে পারলাম না। আমি কাউকে দোষ দেই না। কারো কোনো দোষ নাই। আমার জান আমার জন্য অপক্ষো করতেছে। সবাই ভালো থাকবা।
মা আমার পাশে রোকেয়ার কবর দিও মা। মা আমি জানি না আমার জান কেন ফাঁসি দিল। তার জন্য সম্পূর্ণ আমি দায়ী। এতে কারো কোনো দোষ নাই।’