রংপুর অফিস
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:০৫ পিএম
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৩৪ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ ছয় দফা দাবিতে তিস্তা নদীর দুই তীরের ১১ উপজেলায় একযোগে মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ কর্মসূচিতে তিস্তা নদী এলাকার হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। মানববন্ধন-সমাবেশ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন-সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তাফিজার রহমান, আশিকুর রহমান, গনেশ শর্মা; হাতিবান্ধা উপজেলায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা ওসমান গনি; লালমনিরহাট উপজেলায় সংগঠনের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য গেরিলা লিডার শফিকুল ইসলাম কানু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামসহ অন্যরা।
বক্তারা বলেন, গত বছরের ২ আগস্ট রংপুরের জিলা স্কুল মাঠের পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের তিস্তা মহাপরিকল্পনা আমরা বাস্তবায়ন করব।’ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির প্রায় আট মাস পেরিয়ে গেলেও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোনো কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়নি। তিস্তা নদীর পরিচর্যা না হওয়ায় নদীর বুক ভরাট হয়ে গেছে, শুষ্ক মৌসুমে পানি না থাকায় নদী ধু-ধু বালুচরে পরিণত হয়েছে। আসন্ন বর্ষায় প্রতিবছরের মতো এবারও তিস্তার তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে। তাই নদীর পাড়ের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও জীবিকার ব্যবস্থা করতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা।
এ সময় বক্তারা তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন, তিস্তা চুক্তি সই ও জলাধার নির্মাণ, তিস্তার শাখা-প্রশাখা ও উপশাখাগুলোর সঙ্গে নদীর পূর্বেকার সংযোগ স্থাপন, খনন, অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও নৌ চলাচল পুনরায় চালু করা, চর ও নদীর তীরবর্তী কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় কৃষি সমবায়, কৃষিভিত্তিক শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলা, তিস্তার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণ, নদীভাঙনের শিকার ভূমিহীন, গৃহহীন, মৎস্যজীবীসহ উদ্বাস্তু মানুষের পুনর্বাসন, ভূমিদস্যু ও করপোরেট কোম্পানির হাত থেকে দখলমুক্ত করা, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিস্তাপাড়ের মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে ছয় দফা দাবি জানানো হয়।