মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৪৭ পিএম
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৩৮ পিএম
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর করগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অভ্যন্তরীণ বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষ। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে অভ্যন্তরীণ বিরোধ মীমাংসায় সালিশে বসে এমপির সামনে সংঘর্ষে জড়াল দুই পক্ষ। এ সময় দুই পক্ষের চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার করগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান
নাদিম মোল্লা ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মাহবুবুর রহমান ফানুর মধ্যে দীর্ঘদিন
ধরে বিরোধ চলছে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য আজ স্থানীয় করগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের
মাঠে সালিশ বসে।
এ সময় কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য
অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন ও সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন, জেলা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমএ আফজলসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত
ছিলেন। সালিশ চলাকালে হঠাৎ দুই পক্ষের তর্কাতর্কিতে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এতে
সালিশ পণ্ড হয়ে যায়।
৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মাহবুবুর রহমান
ফানু বলেন, ‘সালিশে সার্বিক আলোচনা শেষে উপস্থিত সবাই ইউপি চেয়ারম্যান
নাদিম মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। এতে তার ভাতিজা সুমন মোল্লা, ফাহাদ মোল্লা, আঙ্গুরসহ
তার পক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের লোকের ওপর দেশীয় অস্ত্র ও চেয়ার দিয়ে হামলা চালান।
হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।’
করগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি
সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লা এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম
করেছেন। তার নিজস্ব পালিত গুন্ডা বাহিনী রয়েছে। এই গুন্ডা বাহিনীই সাধারণ লোকজনের ওপর
হামলা চালিয়েছে।’
তবে ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লা বলেন, ‘সালিশ চলাকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন উত্তেজনামূলক কথা বলেন। তাতেই
এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।’