কুড়িগ্রাম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৪৪ পিএম
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৩৬ পিএম
রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করে রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি কুড়িগ্রাম। প্রবা ফটো
রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি কুড়িগ্রাম। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে স্থানীয় মানুষ, সাধারণ যাত্রী ও গণকমিটির নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
গত সোমবার (২২ এপ্রিল) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে ‘সেকশনাল রেয়াত’ বাতিল করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।
সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করলে ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১২৩৭ টাকা।
ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা। ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৯৫ ও ৯৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২০ ও ১১৮৫ টাকা।
জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্নীতির দায় জনগণ কেন বহন করবে। বাসের চেয়ে রেলের ভাড়া বেশি করা মানে রেলকে আরও লোকসানি খাতে পরিণত করা।’
সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরিফ বলেন, ‘মালামাল পরিবহন ও গোডাউনের সঙ্গে রেল বিচ্ছিন্ন করে রেলকে লোকসানি খাতে পরিণত করা হয়েছে। ৫ হাজার টাকার বাতি ২৭ হাজার টাকায় কিনেছে রেল আর তার দায় চাপানো হচ্ছে জনগণের ওপর।’
যাত্রী শামীম হোসেন বলেন, ‘বিগত বছরে আয়-ব্যয়ের হিসাব, মালামাল ক্রয়ের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তারপর ভাড়া বৃদ্ধি করা হবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।’
সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল কাদের বলেন, ‘রেলের কর্তৃপক্ষ ১৯ হাজার টাকার মাল ৩ লাখ টাকায় কেনে। পত্রিকায় নিউজ এসেছে, কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে রেলের ক্ষতি হয় ২০ হাজার কোটি টাকা। আর সেই দায় যাত্রীরা কেন বহন করবে।’ তিনি সারা দেশবাসীকে প্রতিবাদে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
গণকমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান বলেন, ‘যাত্রীবাহী বগির চেয়ে মালবাহীতে ৪ গুণ আয় আসে। আর বর্তমান ইঞ্জিনগুলোতে ২৫টি বগি যুক্ত করা যায়। এখনকার যাত্রীবাহী বগিগুলোর সঙ্গে ৮টি মালবাহী বগি যুক্ত করলে রেল লাভজনক হয়ে উঠবে। এছাড়াও ক্রয়-বিক্রয়ের কমিশন বাণিজ্য তো আছেই।’