× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

‘পেটে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি, লাশ হয়ে ফিরলেন প্রসূতি শীলা’

কক্সবাজার অফিস

প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৪৮ পিএম

আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৫১ পিএম

স্বামীর সঙ্গে আফসানা হোসেন শীলা। প্রবা ফটো

স্বামীর সঙ্গে আফসানা হোসেন শীলা। প্রবা ফটো

কক্সবাজার ইউনিয়ন হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় আফসানা হোসেন শীলা নামে প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মারা যাওয়া প্রসূতি মা শীলা কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার মোহাম্মদ হোসেনের কন্যা এবং মোহাম্মদ ইফতেখারের স্ত্রী।

প্রসূতির স্বামী মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, তার স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন। আগামি ৬ মে প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা ছিল। কিন্তু ২১ এপ্রিল তার স্ত্রী হালকা পেটে ব্যাথা অনুভবে কথা জানানোর পর কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নীনা জাহানকে দেখান। ডাক্তার নীনা জাহান তাকে কক্সবাজার ইউনিয়ন হাসপাতালে ভর্তি করার পরার্মশ দেন। ডাক্তারের কথা মতো আফসানাকে রাত সাড়ে ১১টায় ভর্তি করানো হয় ওই হাসপাতালে। ভর্তির পর পর ওই হাসপাতালের ডাক্তার শাহেদ একটি ইনজেকশন পুশ করে। এরপর পরই তার স্ত্রীর ব্যাথা বাড়তে থাকে।

তিনি বলেন, ‘২২ এপ্রিল রাত ২টায় ডাক্তার শাহেদ আমার স্ত্রীকে ডেলিভারির জন্য রক্তের ব্যবস্থা করতে বলেন। তখন এক ব্যাগ রক্ত চালানোর পর একটি স্যালাইন পুশ করা হয়। রাত ৩টায় ডাক্তার শাহেদ ডেলিভারি করা হবে জানিয়ে হিমু এবং সোমা নামে দুজন নার্স নিয়ে আমার স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। ওখানে আমার স্ত্রী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এরপর নার্সরা এসে জানান আমার স্ত্রীর অতিরিক্ত রক্তরক্ষণ হচ্ছে। রক্ত লাগবে। এরপর আমি একে-একে ২২ ব্যাগ রক্তের ব্যবস্থা করি। এতেও রক্ত ক্ষরণ বন্ধ হয়নি। উল্টো রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে ইউনিয়ন হাসপাতাল থেকে বিষয়টি অবগত করা হয় ডাক্তার নীনা জাহানকে। ডাক্তার রোগীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। আমার স্ত্রীকে দ্রুত সদর হাসপাতালে আনার পর ডাক্তার নীনা জাহান রোগীকে আইসিইউতে পাঠান। সেখানে আরও দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হলেও বুধবার রাতে মারা যান আমার স্ত্রী।’

আফসানার বাবা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াই আমার মেয়েকে আগাম প্রসব করানো হয়েছে। ওখানে জরায়ু কেটে ফেলায় রক্ত রক্ষণ হয়। এখন নবজাতক নাতিনীকে পেলেও হারাতে হয়েছে মেয়েকে। এখন ইউনিয়ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উল্টো কোনো কথা না বলতে হুমকি দিচ্ছেন।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারে ইউনিয়ন হাসপাতাল এসে হতবাক হয়েছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। মন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করে হাসপাতালটির চিকিৎসা কার্যক্রমের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নিদের্শ প্রদান করেন। যার প্রেক্ষিতে ১৭ এপ্রিল ইউনিয়ন হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে আইসিইউ, সিটি স্ক্যানিং, পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড ও অপারেশন থিয়েটার সীলাগালা করে বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু রহস্যজনক কারণেই সেই অপারেশন থিয়েটার কখন চালু করে তা জানা যায়নি। আর সেই অপারেশন থিয়েটারে এবার প্রসব পরবর্তি মারা গেলেন এক মা।

বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন হাসপাতালের পরিচালক নুরুল হুদার ফোনে একাধিক ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এব্যাপারে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেননি ডাক্তার নীনা জাহানও।

তবে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডাক্তার আসিফ আহমেদ হাওলাদার জানান, বিষয়টি রোগীর পক্ষে সরাসরি কেউ অভিযোগ এখনও করেনি। তবে রাতেই বিষয়টি জানার পর এব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছে। বিষয় অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা