ঠাকুরগাঁও প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৪৪ পিএম
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৪৬ পিএম
মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এরপরও কেউ কেউ ভোট থেকে সরে না দাঁড়ালে বহিষ্কারসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে দলটি। তবে কড়া এই নির্দেশনাও ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলামের চার আত্মীয়কে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে পারেনি।
তারা হলেন- মাজহারুল ইসলামের চাচা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, আরেক চাচা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলীর ছোট ছেলে আলী আফসার ও ফুপাতো বোন উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সিমা আক্তার সুমনা।
কেন্দ্রের কঠোর নির্দেশনা থাকার পরও নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে প্রার্থীরা বলেন, স্থানীয় নেতাকর্মীরা আমাদের চেয়ারম্যান প্রার্থী পদে নাম ঘোষণা করেছে। অনলাইনে চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছি। প্রতীকও পেয়েছি। ইতোমধ্যে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী কাজ শুরু করেছি।
এ বিষয়ে সিমা আক্তার সুমনা বলেন, আমরা যখন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি তখন প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা দেননি। এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমাকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিনের আগে প্রধানমন্ত্রী যেহেতু নির্দেশনা দেননি, সেজন্য আমরা কেউ আমাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করিনি। সফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এমপির পরিবারের নই। আমরা আলাদা খাই। তাছাড়া নির্বাচন থেকে সরে যেতে হবে দল থেকে এমন চিঠিও পাইনি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় থাকা অবস্থায় সিদ্ধান্ত পেলে বিষয়টা ভেবে দেখতাম। মোহাম্মদ আলী বলেন, পেপার-পত্রিকায় বিষয়টা দেখেছি। তবে নির্বাচন থেকে সরে যেতে হবে এটা আমাকে কেউ জানায়নি।
ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠিন বার্তা দিয়েছেন। আমি প্রত্যেককে সেই বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। নির্দেশ না মানলে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবলু রহমান বলেন, দলের সিদ্ধান্ত প্রার্থীদের জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা গুরুত্ব দেননি। পরে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।