× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

প্রসূতির পেটে গজ ও ফুল তদন্তে কমিটি

ফুলবাড়ী ও হিলি প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:০৯ পিএম

প্রসূতির পেটে গজ ও ফুল তদন্তে কমিটি

দিনাজপুরের বিরামপুরে সিজারের সময় মাইমুন্না আক্তার মীম নামের এক প্রসূতির পেটে গজ ও ফুল রেখেই সেলাই দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। বিরামপুর রায়হান ক্লিনিকের এ ঘটনায় সরকারি চিকিৎসক ডা. তাহেরা খাতুন লাভলীর বিরুদ্ধে সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রসূতির বাবা মতিয়ার রহমান।

ডা. তাহেরা খাতুন লাভলী বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার। অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করেছেন দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন।

প্রসূতি মাইমুন্না আক্তার মীম নবাবগঞ্জ উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের ইসাহাক আলীর স্ত্রী। মীমের বাবা মতিয়ার রহমান বলেন, চলতি বছরের ৬ মার্চ আমার মেয়ের প্রসব ব্যথা উঠলে তাকে বিরামপুর রায়হান ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই দিন ডা. তাহেরা খাতুন আমার মেয়ের সিজার করেন। তিন দিন পর মেয়েকে ছাড়পত্র দেওয়া হলে তাকে বাড়ি আনা হয়। ৭ দিন পর সেলাই কাটা হলে তার ২৭ দিন পর থেকে মেয়ের প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। অবস্থা খারাপ দেখে তাকে পুনরায় চলতি মাসের ৩ তারিখে রায়হান ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা করেও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা করে মেয়ের অপারেশন করেন। অপারেশন করে চিকিৎসকরা জানান আমার মেয়ের পেটে গজ ও অনেক ময়লা ছিল। এ ছাড়াও মেয়ের জরায়ুতে ইনফেকশন হয়েছে। চিকিৎসকরা আরও জানান, আমার মেয়ে ভবিষ্যতে আর মা হতে পারবে না। বাবা মতিয়ার রহমান তার মেয়ের এই ক্ষতির ন্যায্য বিচার চান।

রায়হান ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম অপরাধ সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি। তবে তিনি বলেন, সিজার করার কিছু দিন পর ওই প্রসুতির রক্তক্ষরণ হতে থাকায় তাকে আবার আমাদের এখানে ভর্তি করে তার পরিবার। তাকে আমাদের ক্লিনিকের অ্যাম্বুলেন্সে করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ডা. তাহেরা খাতুন লাভলী এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট বলে দাবি করে বলেন, ‘যদি দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের রিপোর্টে আমার ভুল প্রমাণিত হলে আমি আমার অপরাধ মেনে নেব।’ বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো গোলাম রসূল রাখি বলেন, তিন সদস্যের কমিটি অভিযোগ তদন্ত করছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৃ

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা