× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নিলামের অপেক্ষায় ধ্বংস হচ্ছে কোটি টাকার গাড়ি ও নৌযান

বরগুনা সংবাদদাতা

প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৫৭ পিএম

আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৩০ পিএম

নিলামের অপেক্ষায় ধ্বংস হচ্ছে কোটি টাকার গাড়ি ও নৌযান

বরগুনায় ২০ বছর ধরে পড়ে থেকে ধ্বংস হচ্ছে সরকারি দপ্তরের গাড়ি, নৌযান ও যন্ত্রাংশ। নিলামের অপেক্ষায় নিঃশেষ হওয়ার পথে বরগুনা পৌরসভার অসংখ্য পুরোনো ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন। একই অবস্থায় পড়ে আছে বরগুনা জেলা প্রশাসকের নৌঘাটে কয়েক কোটি টাকা সমমূল্যের স্পিড বোট। জেলার বিভিন্ন দপ্তরে যথাসময়ে নিলাম না হওয়ায় রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ ব্যয়ে কেনা এসব সম্পদ এখন ধ্বংসের পথে।

বরগুনায় সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ৮২টি দপ্তর রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোয় নিলাম উপযোগী বিভিন্ন সরকারি সম্পদ পড়ে আছে বছরের পর বছর।

সরেজমিনে দেখা যায়, বরগুনা জেলা প্রশাসকের নৌঘাটে বহু বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে কোটি টাকা সমমূল্যের স্পিড বোট। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দ্রুতসময়ে নিলাম না হওয়ায় ঘাটে পড়ে থাকা এসব নৌযান এখন ধ্বংসের পথে। একই অবস্থা দেখা যায় বরগুনা পৌরসভায়। নিলাম না হওয়ায় পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে ট্রাকসহ বিভিন্ন গাড়ি।

জেলার কয়েকটি সরকারি দপ্তরেও দেখা যায় এমন চিত্র। আইনি জটিলতায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে নিঃশেষ হচ্ছে এসব যানবাহন। বছরের পর বছর পড়ে থেকে চুরি হয়ে গেছে অনেক যন্ত্রাংশ। কোটি টাকা মূল্যের এসব সরকারি সম্পদ নষ্ট না করে দ্রুত নিলামের মাধ্যমে বিক্রির দাবি সচেতন নাগরিকদের।

বরগুনার বাসিন্দা হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, ‘বিভিন্ন দপ্তরের গাড়ি ও নৌযান যেগুলো সামান্য ত্রুটির কারণে অকেজো হয়ে পড়ে আছে, সেগুলো মেরামতের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। অথবা সরকারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করা যেতে পারে। তবে নিলাম প্রক্রিয়ায় যদি দীর্ঘসূত্রিতা হয়, তাহলে যত দিন বাড়ে ততই এর বিক্রয়মূল্য কমে যাবে। এ কারণে রাষ্ট্রকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে এসব গাড়ি ও নৌযানকে ব্যবহার উপযোগী করতে হবে অথবা বিক্রি করে দিয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ জমা করতে হবে।’

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক একেএম নাজমুল আহসান বলেন, ‘আমাদের অ্যাম্বুলেন্স ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নিলাম করতে একটি কমিটি করা আছে। স্থানীয়ভাবে যেগুলো নিলাম করা যায় তা আমরা প্রতিবছরই করি। এ ছাড়া বড় যন্ত্রাংশ নিলাম করতে সরকার থেকে আলাদা কমিটি করা আছে। এগুলো নিলামের জন্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওই কমিটির সভাপতি থাকেন সেখানে আবেদন করতে হয়। তবে এটি বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করতে কালক্ষেপণ হয়।’

বরগুনা পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, ‘পৌরসভার নিলাম প্রক্রিয়ায় অকেজো এসব গাড়ি নিলাম করতে প্রথমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশ প্রয়োজন হয়। বিআরটিএ থেকেও অনুমতি নিতে হয়। চূড়ান্ত অনুমতি পেলে আমরা নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি। তবে নিয়ম অনুযায়ী প্রক্রিয়াগুলো সহজ না হওয়ায় এসব যানবাহন ফেলে রাখা হয়। দীর্ঘসূত্রিতার কারণে সরকার প্রকৃত মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’

বরগুনা জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অকেজো বা পরিত্যক্ত ঘোষণা করার জন্য জেলাপর্যায়ে কমিটি আছে। কোনো দপ্তরে যদি এ ধরনের কিছু আমাদের নজরে আসে সেক্ষেত্রে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাগ্রহণের চেষ্টা করি। বরগুনাতে এ রকম কিছু থাকলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণে কাজ করব। যাতে সরকারের ওই সম্পদগুলো নষ্ট না হয়ে যায়।’ 

এ বিষয়ে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, ‘বিভিন্ন দপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী একেক নিয়মে এসব পুরোনো গাড়ি ও যন্ত্রাংশ নিলাম দেওয়ার পদ্ধতি আছে। তবে প্রয়োজন হলে সংসদে বিষয়টি উপস্থাপন করব।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা