× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পঞ্চগড়ে উপজেলা নির্বাচন

আমিরুলের সম্পত্তি বেড়েছে ১৯১ গুণ

পঞ্চগড় প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৫৪ পিএম

আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৩৭ পিএম

 আমিরুল ইসলাম। প্রবা ফটো

আমিরুল ইসলাম। প্রবা ফটো

গত পাঁচ বছরে পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আমিরুল ইসলামের স্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ১৯১ গুণ আর অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচগুণ। একই সঙ্গে তার বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ গুণ। ২০১৯ ও ২০২৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে তার সম্পত্তি বৃদ্ধির এসব তথ্য জানা গেছে।

আমিরুল ইসলাম ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। সেবার তিনি জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু দাউদ প্রধানকে ১৫ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে বিজয়ী হন।

হলফনামা অনুযায়ী, ২০১৯ সালে নির্বাচনের আগে আমিরুল ইসলামের স্থাবর সম্পত্তি ছিল ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকার। এর মধ্যে কৃষিজমি ছিল ২ দশমিক ৫ একর। যার মূল্য দেখানো হয় ৭৫ হাজার টাকা এবং হাস্কিং মিল ও সংলগ্ন একটি বাড়ি ছিল। যার মূল্য দেখানো হয় ৩ লাখ টাকা।

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হলফনামায় তার স্থাবর সম্পত্তি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ পাঁচ বছরের ব্যবধানে বেড়ে হয়েছে ১৯১ দশমিক ২ গুণ। তার স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে পঞ্চগড় পৌরসভার তেলিপাড়া ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় বিসিক শিল্পনগরীতে পরিবেশবান্ধব ইট তৈরির কারখানা ইসলাম ইন্ডাস্ট্রিজ, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া ৮৮ লাখ টাকা মূল্যের ৫৭ শতক বসতভিটা, ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি ডুপ্লেক্স দালান, ৪ লাখ টাকা মূল্যের একটি টিনশেড বিল্ডিং, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ১ দশমিক ৩১ একর জমি রয়েছে। তবে পৈতৃক এই জমির মূল্য তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেননি।

২০১৯ সালের হলফনামা অনুযায়ী, আমিরুলের অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ২০ লাখ ২০ হাজার টাকার। যার মধ্যে নগদ ছিল ৪ লাখ টাকা, ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি প্রাইভেটকার, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল, ২ লাখ টাকা মূল্যের ৫ ভরি স্বর্ণ, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, এসি, ফ্যান, ফ্রিজ, টেলিভিশন এবং ৭০ হাজার টাকা মূল্যের খাট, সোফা, আলমারি, ড্রেসিং, চেয়ার, টেবিলসহ আসবাবপত্র।

এবার নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী, আমিরুলের অস্থাবর সম্পত্তি বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর মধ্যে নগদ টাকা আছে নিজ নামে ২২ লাখ এবং স্ত্রীর নামে ৮ লাখ, ৪৮ লাখ টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ি, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল, ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৫ ভরি স্বর্ণ, ২০ লাখ টাকা মূল্যের চারটি করে ফ্রিজ, টিভি ও এসি, একটি ওয়াশিং মেশিন, তিনটি ওভেনসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিকসামগ্রী। এ ছাড়া ৮ লাখ টাকা মূল্যের চারটি সোফা, তিনটি আলমারি, চারটি বেড, চারটি ড্রেসিংসহ অন্যান্য আসবাবপত্র। অর্থাৎ গত ৫ বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৫ দশমিক ৪৫ গুণ।

এ ছাড়া ২০১৯ সালের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনের আগে আমিরুলের বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। যার পুরো অংশই ব্যবসা থেকে এসেছে বলে দেখানো হয়। তবে ২০২৪ সালে এসে তার বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ লাখ ৭০ হাজার টাকায়। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে ১০ লাখ, ব্যবসা থেকে ৩৫ লাখ ৬০ হাজার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মানী ও ভ্রমণ বিল বাবদ ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। অর্থাৎ গত ৫ বছরের ব্যবধানে তার আয় বেড়েছে প্রায় ২২ গুণ।

আমিরুল ইসলামের পঞ্চগড় জেলা শহরের অগ্রণী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও বিসিক শিল্পনগরীতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ঋণ থাকলেও তিনি তা হলফনামায় উল্লেখ করেননি। তবে ২০১৯ সালের নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করলেও হলফনামায় ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সম্পদসহ সবকিছুর স্বীকারোক্তি প্রদান করেন।

এ ছাড়া ২০১৯ সালের নির্বাচনে তিনি হলফনামায় নিজেকে এসএসসি পাস হিসেবে উল্লেখ করলেও এবার তিনি নিজেকে অনার্স (বিএ) পাস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আমিরুল ইসলামের বাড়ি পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের চাকলাহাট গ্রামে। তবে তিনি পঞ্চগড় পৌরসভার জালাসী এলাকায় বসবাস করছেন। 

সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ব্যবসা থেকে মূলত এই টাকা আয় করেছি। এ ছাড়া আমার দুই ছেলে ভালো পদে চাকরি করে। তারা আমাকে হেল্প করছে। বেশ কয়েকটি ব্যাংকে আমার ঋণ রয়েছে আড়াই কোটি টাকার মতো।’ শিক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সেবার আমি প্রথমবারের মতো ভোট করেছিলাম। তাই কিছু তথ্য বাদ পড়েছিল।’ ঋণের কথা হলফনামায় উল্লেখ করেননি কেন- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তো ঋণখেলাপি না। তাই উল্লেখ করিনি।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা