× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চাকরি পেতে অভিনব অনিয়ম

মানুষ ডাকে রাসেল বলে নিয়োগ তার রানা নামে

বরগুনা সংবাদদাতা

প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৫২ পিএম

আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ২০:১৫ পিএম

রাসেল রানা। প্রবা ফটো

রাসেল রানা। প্রবা ফটো

গ্রামপুলিশ নিয়োগের ক্ষেত্রে অভিনব এক অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে। ওই পদে সেখানে চাকরি করতেন মো. শাহ আলম। ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান ফরাজী মো. ইউনুস আশ্বাস দেন, শাহ আলমের ছেলে শাহিনকে ওই পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে মেয়াদ থাকার পরও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন আলম। পাশাপাশি ঘুষ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকাও দেওয়া হয় চেয়ারম্যানকে। কিন্তু ওই ইউনিয়নের সংরক্ষিত (নারী) ইউপি সদস্যের কাছ থেকে আরও বেশি টাকা নিয়ে তার ছেলে পরিচয়ধারী এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ওই পদে। যিনি নিয়োগ পেয়েছেন, তাকে স্থানীয়ভাবে কেউই চেনে না।

উল্লেখ্য, বিধিমোতাবেক ৭ নভেম্বর সোনাকাটা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

শাহিন ও তার বাবা শাহ আলম অভিযোগ করেন, গ্রামপুলিশে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে তাদের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন চেয়ারম্যান ইউনুস ফরাজী। শাহ আলম বলেন, ‘আমার ছেলেকে আমার বদলে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে আমাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার পরামর্শ দেন চেয়ারম্যান। টাকা-পয়সার কথাও বলেন। আমি পদত্যাগের পাশাপাশি ছেলেকে দিয়ে তাকে টাকাও দিই। কিন্তু তিনি মহিলা মেম্বারের কাছ থেকে আরও বেশি টাকা নিয়ে তার ছেলেকে নিয়োগ দিয়েছেন।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পদটিতে নিয়োগ পেয়েছেন রানা নামের একজন। তবে তাকে গ্রামের কেউ রাহিমা মেম্বারের ছেলে হিসেবে চেনে না। গ্রামের লোকজন জানান, ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রাহিমা বেগমের দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে। কিন্তু রানা নামে তার কোনো ছেলে আছে বলে তাদের কারও জানা নেই!

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, রাহিমা বেগমের ছেলে পরিচয়ে যার চাকরি হয়েছে, তিনি আশপাশের অনেকের কাছে পরিচিত রাসেল নামে। বড় আমখোলা নাজিরবাড়ি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার ২০১৩ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার কাগজপত্র থেকেও একই তথ্য মিলেছে। তবে ২০০৯ সালের মাধ্যমিক শ্রেণি উত্তরণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রানা নামের এক ব্যক্তির সনদ নিয়ে নতুন এই চাকরি নিয়েছেন রাসেল। লাউপাড়া সাগর সৈকত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে সনদটি সম্পর্কে খোঁজ করা হয়। এ সময় পাওয়া যায়নি প্রধান শিক্ষককে। সহকারী প্রধান শিক্ষকও প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান। 

তবে কোনো অভিযোগ মানতে নারাজ চাকরি পাওয়া রানা ও তার বাবা। রাসেল ওরফে রানা বলেন, ‘আমি রানা। রাসেল নামে কাউকে চিনি না।’ তার বাবাও জানান, ‘রানা আমার ছেলে, রাসেল নামে আমার কোনো ছেলে নেই।’

ছেলের কত সালে জন্ম হয়েছে, এমন প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে পারেননি তার বাবা। রাসেল/রানাও তার জন্ম তারিখের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।

ইতোমধ্যে এ বিষয়ে একাধিক দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দেন আরেক প্রার্থী শাহিন। তবে এসব বিষয়ে কথা বলতে চাননি সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুস ফরাজী। 

এ প্রসঙ্গে তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমার কাছে এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ এসেছে। একবার শুনানিও করেছি। রানার সনদ নিয়েও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করার জন্য বলেছি। সার্বিক বিষয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা